ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সদ্য এডিসি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া`র সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকগণ।বৃহস্পতিবার(৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় ইউএনও’র অফিসরুমে কর্মরত সাংবাদিকগণ বিদায়ী সাক্ষাতে মিলিত হন। এসময় সাংবাদিকগণ নাসিরনগরে ইউএনও’র দশ মাসের কর্মযজ্ঞ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। নাসিরনগর উপজেলার মানবকন্ঠ প্রতিনিধি শামীম আল মামুন বলেন, সাংবাদিকদের কোন আবদারই তিনি(ইউএনও) এড়িয়ে যাননি। বরং নীতির মধ্যে থেকে যথাসম্ভব সেই কাজগুলো করেছেন।
কালবেলা প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, আসলে ইউএনও স্যারের সাথে আমাদের সাংবাদিকদের সম্পর্ক ছিলো অনেকটা পরিবারের একজন সদস্যের মতোই। নিউজ হবার মতো কোন বিষয় তিনি জানলে তা দ্রুতই আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখা দিলে তিনি আমাদের সাথে শেয়ার করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চাইতেন।
দৈনিক এই বাংলা প্রতিনিধি মো. পারভেজ ইউএনও সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে বলেন, দশ মাস সময়কালে নাসিরনগরের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন।আপনার চলে যাওয়ায় আমরা ব্যথিত। কিন্তু কর্মের খাতিরে তো যেতেই হবে। এসময় এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিদায়ী ইউএনও তার বক্তব্যে বলেন,জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন থেকে জুলাই অভ্যুত্থান তার পর অন্তর্বতীকালিন সরকার, আমার জীবনের একটি সোনালী সময় পার করলাম নাসিরনগরে । ইউএনও হিসেবে আমি চেষ্টা করেছি বর্তমান নাসিরনগরকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাবার। সে কাজে আপনারা আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। এজন্যে আপনাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নাসিরনগরের উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করেছি সর্বাত্মক। আশা করছি এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের নিকট দোয়া কামনা করে বলেন, যেখানেই যাই আপনারা আমার জন্যে দোয়া করবেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে আরও স্মৃতিচারণ করেন দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ আহাম্মদ হোসেন চৌধুরী, সময়ের কাগজ প্রতিনিধি নয়ন কুমার দাস, যুগান্তর প্রতিনিধি মনির হোসেন ও বাংলাদেশের আলো প্রতিনিধি নিহারেন্দু চক্রবর্তী।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :