অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে বৈষম্য হয়েছে দাবি করে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ২৪ জনের মধ্যে একটি বিভাগ থেকেই ১৩ জন। এসব বিষয় চোখে পড়ে!
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেসরকারি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, কোথায় বৈষম্য হচ্ছে, কোথায় স্বজনপ্রীতি হচ্ছে- এগুলো কিন্তু মানুষের দৃষ্টি এড়ায় না। এগুলো কোনো ভালো বার্তাও দেয় না। এতে অনৈক্য ও অসন্তোষ বাড়বে। যত ভুল পদক্ষেপ নেয়া হবে, ততই অনৈক্য ও অসন্তোষ বাড়বে। আর যত অনৈক্য বাড়বে, আওয়ামী লীগের জন্য ততই সুবিধা হবে।
‘রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে’- হাসনাতের এমন মন্তব্যে রুমিন ফারহানা বলেন, হাসনাতের কথাটায় একটা বেসিক ভুল আছে। ফাঁসির দড়ি আসলে বিএনপি, জামায়াত, গণ অধিকার পরিষদসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের গলায় আগে পড়বে। ছাত্রদেরটা অনেক পরে আসবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের গতি নিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি কাজের কত সময় লাগতে পারে, সেই বিষয়ে মোটা দাগে আমাদের একটা ধারণা আছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন কমিশন গঠন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নাম নিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে একটি কমিটি গঠন এবং তারপর ভোটের জন্য একটা নির্ধারিত তারিখ ঠিক করে ঘোষণা দিতে হবে। এই তো কাজ! আর প্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত, যারা ভোটের সময় মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন, তাদেরকে সরিয়ে নিরপেক্ষদের নিয়োগ দিতে হবে। এটার জন্য যৌক্তিক সময় কতটুকু হতে পারে?
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এটা হচ্ছে এক ধরনের সংস্কারের কথা বলছি। আর আপনি যদি বলেন, সব সংস্কারের পরে নির্বাচন, যেটা কেউ কেউ সরকারে পক্ষ থেকে বলছেন। কিন্তু সব সংস্কার করতে গেলে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিদিনই কিছু না কিছু সংস্কার কিছু না কিছু পরিবর্তনের নামই কিন্তু জীবন। সেটা হলে তো কয়েকশো বছরেও শেষ হবে না। কাজ কোনো দিনই শেষ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি যারা রাজনৈতিক দল এবং যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তারা জনগণের পালস বুঝেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় যাদের অভিজ্ঞতা আছে, তারা একটা ইস্যুকে যেভাবে হ্যান্ডেল করবেন, একটা অরাজনৈতিক সরকারের পক্ষে সেটা সম্ভব না।’
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :