অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেছেন, রাজনীতিবিদরা আর কত ধৈর্য ধরবে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এই প্রশ্ন রাখেন।
আবদুস সালাম বলেন, ‘এই সরকার যেগুলো ব্যাসিক নিড, সেগুলো দিতে পারছে না। আজকে যারা আন্দোলনে আহত হয়েছে তাদেরকে চিকিৎসা হচ্ছে না। পানির দাম কমাতে পারে নাই। বিদ্যুতের দাম কমে নাই। ব্যাংক যারা লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না৷ আর কত ধৈর্য ধরবে রাজনীতিবিদরা।’
যাদের উপদেষ্টা করা হচ্ছে, তাদের যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপরসনের এই উপদেষ্টা। বলেন, ‘সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে আবদুস সালাম বলেন, ‘স্বাধীনতার আগের থেকেই আমারা ভোটের জন্য লড়াই করছি। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর আমারা ভোটের জন্য যুদ্ধ করেছি। আমারা ভোটের কথা বলবো না কেন? কোনো সরকার ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে পারে না। সুতরাং দ্রুত নির্বাচন দিন।’
উপদেষ্টাদের বক্তব্য দেয়ার সময় সৎ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমারা সময় দিয়েছি আরও দেব। তবে ভবিষ্যতে আর যেন কোনো আবল-তাবল সিদ্ধান্ত না নেয়া হয়। সব সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিতে হবে।’
প্রতিবাদ সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গতকালের গণ-অভ্যুত্থানের আহতদের বিক্ষোভের অর্থ দেশটা বেশ বড় রকমের সংকটের মধ্যে পড়ে গেছে। আহতদের টাকা দিতে এত সময় লাগল কেন, সেই জবাব আমরা চাইতে পারি। জনগণকে দিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়ার দরকার মনে করে না উল্লেখ করে মান্না বলেন, ‘মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আর শেখ বশির কীভাবে উপদেষ্টা পদে এলেন। কার পরামর্শে এদের নেয়া হলো।’
নির্বাচন উপযোগী কার্যক্রম শুরুর আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘দ্রুত নির্বাচন দিতে আজারবাইজানে যে কথা বলেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। যেসব সংস্কার দরকার তা নির্বাচিত সরকার করবে।’
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :