জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সভায় ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সরকারি তহবিল থেকে অনুদানের টাকা ও সুচিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতরা দুপুরে সচিবালয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর আসেন আহতদের আরেকটি পক্ষ। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সমন্বয়ক সারজিস আলমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে তা শুরু করা যায়নি। সভা শুরু হয় বিকেল ৪টার পর।
সভায় আসা এক আহত অন্য পক্ষকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘দুপুর ২টার সময় কল করা হয়েছিল, যেটা আমরা সবাই দেখেছি। ওনারা ২টার আগে কোথা থেকে আসলো?’
সভায় আহতরা সঠিকভাবে চিকিৎসা না পাওয়াসহ নানা অভিযোগ তোলেন। তবে, তাদের নিয়ে যেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ কোনো রাজনীতি করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলছেন আহতরা।
একজন আহত বলেন, ‘যেটা প্রসিডিউর আছে সেটা করে দেবেন আমাদেরকে। আমি আর চাই না, আমরা আর রাস্তায় নামতে চাই না। আমরা রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাই।’
সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. সায়েদুর রহমান জানান, জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে পঙ্গু ও অন্ধদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। তাদের কর্মসংস্থানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়াসহ আহতদের সর্বাত্মকভাবে সহায়তা করা হবে।
সভায় তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অভ্যুত্থানে আহতরা এখনও হাসপাতালের বিছানায়। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন দেয়ার কথা বলছে। আহতদের পাশে কেবল সরকার নয়, রাজনৈতিক দলগুলোরও দাঁড়ানোর দায়িত্ব রয়েছে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা যাতে পুরো ন্যাশনাল ফোকাস, আমরা এই মানুষগুলোর প্রতি দেই। এই শহিদ পরিবার, আহত পরিবারের প্রতি দেই। সরকারের জায়গা থেকে বেসরকারি জায়গা থেকে। আজকে একটি টাইমলাইন দেওয়া হলো। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে একটি রূপরেখা দেওয়া হবে।’
এদিকে, সভা শেষেও আহতদের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে এক পর্যায়ে দুই পক্ষই সভাকক্ষ ছেড়ে যায়।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :