বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর শহীদ মো. আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল হাইস্কুল মাঠে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান। পরে তাকে বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ সময় স্থানীয় প্রশাসন, রাজনীতিবিদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন মো. আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ভোরে ঢাকার সিএমএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আব্দুল্লাহ বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পলিটিকাল সায়েন্সের ছাত্র ছিল। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন আব্দুল্লাহ। বড় ভাই বাবু ও মেজো ভাই মিঠু ট্রাক শ্রমিক, আর বোন শ্বশুর বাড়িতে; বাবা বন্দর শ্রমিক।
এদিকে, আব্দুল্লাহর মৃত্যুর খবরে বৃহস্পতিবার বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ, পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
এ সময় বেনাপোল পৌরসভার পক্ষ থেকে নিহত আবদুল্লাহর পরিবারকে ২৫ হাজার ও জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার টাকা সহযোগিতা করা হয়। এছাড়াও বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :