মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া অনেক বড় অপরাধ। এসব অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া হবে। যদি তা না করে, আদালতের কাছ থেকে যখন ভুয়া বিষয়টি নিশ্চিত হবে তখন তাদের সনদ বাতিলই নয়, একই সঙ্গে তাদের সাজার ব্যবস্থাও করবে সরকার। জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে সামনে রেখে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, অভিযুক্তরা স্বীকার করলে সাধারণ ক্ষমা পাবে, না হলে কঠোর শাস্তির বিধান করা হতে পারে। যারা বিভিন্নভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ সনদ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান রয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা। রায় ঘোষনার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক আপত্তির কারনে মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট সকলকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণার বিষয়টি নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কমিটির সাথে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে বর্তমান আইন সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৪ জন ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন যার মধ্যে বীরাঙ্গনা রয়েছেন ৪৬৪ জন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :