বিদেশে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের দুই দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
শনিবার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এই অনুমতি দেন।
এর আগে, জিডি মুলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। জিডির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তিনি।
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি সাবেক সরকারের বিভিন্ন অবৈধ কাজে সহায়তাকারী ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের সাথে জড়িত। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম করে দেশকে অস্থিতিশীল করার গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে আসামি কৌশলে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করেছে। বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে এই আসামিকে বিমানবন্দর থানাধীন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দ্বিতীয় তলার বর্হিগমন এলাকায় দেখে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদকালে আসামি সন্তোষ জনক উত্তর না দিতে পারেনি। আসামি বিদেশ গিয়ে বিদেশে বসে তার সহযোগী সক্রিয় ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়া পরিকল্পনা করে দেশকে অস্থিতিশীল ও দেশের সাধারণ জনগনের জান মালের ক্ষতিসাধন, জন-জীবন বিপন্ন করা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। সময়ের সল্পতার কারণে আসামিকে ব্যাপক ও নিবিড় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। বর্ণিত কারণে আসামিকে ৭ সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্তকে প্রয়োজন।
এদিকে, আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. তারেক জুবায়ের এ তথ্য জানান।
বিমানবন্দর থানার ওসি এরশাদ আহমেদ জানান, ইসমাইল বিমানবন্দর টার্মিনাল থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। পরে শনিবার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
ইসমাইল হোসেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (প্রশাসন) ১১তম ব্যাচের সদস্য এবং সাবেক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :