বেতন বাড়ানোর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত কর্মবিরতি পালন করছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, দাবি পূরণের প্রজ্ঞাপন না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি চলবে। এ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হওয়ার খবর আসছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) প্রথমে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেন চিকিৎসকরা। এক পর্যায়ে দুপুরের পর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করলে সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা সারজিস ইসলাম আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাস্তা ছাড়েন চিকিৎসকরা।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দাবি আদায়ের আশ্বাস পেয়েছি। সে কারণে অবস্থান কর্মসূচি বা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রহ্যাহার করে নিয়েছি। কিন্তু বেতন বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে। আমরা হাসপাতালের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকব।
ট্রেইনি চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ কাজ না করায় বিপাকে পড়েছে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক আছেন ৫০০ জনের মত। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আছেন মেডিসিন বিভাগে।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা না আসায় হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ওই হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের কেউ হাসপাতালে আসেননি। হাসপাতালের নিয়মিত চিকিৎসক, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউর রহমান অবশ্য দাবি করেছেন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা কাজে না আসায় রোগীদের সেবা দিতে সমস্যা হওয়ার কোনো তথ্য তিনি ‘জানেন না’। তিনি বলেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত ইন্টার্ন, রেজিস্ট্রার আছেন। এ কারণে সার্ভিস ব্যাহত হচ্ছে না। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা কাজে না আসায় সার্ভিস হ্যাম্পার হচ্ছে বলে আমাকে কেউ জানায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকের সংখ্যা হাজারের উপরে। সোমবার তারা কেউ হাসপাতালে যাননি। সার্জারি বিভাগের একজন চিকিৎসক গণমাধ্যমকে বলেন, একটা কাজ ৫ জন মিলে করা হত। এখন সেটা করতে হচ্ছে দুজনে। সার্ভিস হ্যাম্পার হচ্ছে, কাজটা এখন যে করছে তার কষ্ট হচ্ছে, সেবার মান খারাপ হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :