বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
তিনি বলেন, ছয় তলা ও সাত তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া বেশিরভাগ তলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা জানান।
এদিকে আগুন লাগার ৬ ঘণ্টা পর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাজাহান সিকদার।
সংবাদ সম্মেলনে জাহেদ কামাল বলেন, আগুনের উৎস এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারিনি। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তারপরও আমরা নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ বিভাগের অফিস রয়েছে। এই ভবনে রয়েছে- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তখন সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা শুরু করে। এরপর আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ২০ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এরপর সচিবালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি সদস্যদের। আগুন লাগার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :