চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ঝগড়া বিবাদের জের ধরে বাপের বাড়িতে থাকা স্বামীর ছুঁড়ে মারা অকটনে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন হতভাগী নাজমা আক্তার মারা যায়। এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত আটটায়।
জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভার জামিরজুরী গ্রামের আব্দুস সালাম ছেলে আব্দুল জব্বার এর সাথে হাশিমপুর ইউনিয়নের বাউলীয়াপাড়ারা গ্রামের মোঃ সেলিমের মেয়ে ২ সন্তানের জননী ৬ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১ মাস পূর্বে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চললে নাজমা বাপের বাড়ি চলে যায় ঘটনার দিন রাতে স্বামী তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটে, এক পর্যায়ে পাষান্ড স্বামী জব্বার তার অগোচরে হাতে থাকা অকটেনের বোতল স্ত্রীর গায়ে ছূড়ে মারলে স্ত্রী তখন রান্নার কাজে চুলায় কাছে থাকায় মুহূর্তে আগুন ধরে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ঝলসে গেছে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে তাৎক্ষনিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার নাজমা আক্তার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে
ঘটনার রাতে হতভাগী নাজমার ভাই বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করলে রাতভর অভিযান চালিয়ে আজ শনিবার সকালে দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে দোহাজারী স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ইমরান আল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে জানান।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :