AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আলোচিত আবেদ আলীর অ্যাকাউন্টে ৪১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫:১২ পিএম, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫
আলোচিত আবেদ আলীর অ্যাকাউন্টে ৪১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন

একসময় কুলি হিসেবে কাজ করা আলোচিত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী এবং তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪১ কোটি ২৯ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তে দেখা গেছে, তার ১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা জমা হয়েছে এবং ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এই বিশাল অঙ্কের লেনদেন সম্পন্ন হয়।

রোববার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তার স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী এবং ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের বিরুদ্ধেও পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আবেদ আলীর স্ত্রী, শাহরিন আক্তার শিল্পীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, তার দুটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৬ টাকা জমা এবং ১ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৩১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে, আবেদ আলীর ছেলে, সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দায়ের করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সিআইডি সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।

এর আগে, ২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় প্রমাণিত অপরাধের কারণে আবেদ আলীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ওই বছর ২২ এপ্রিল নন-ক্যাডারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার পদের লিখিত পরীক্ষায় এক পরীক্ষার্থী অবৈধভাবে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তরসহ চারটি লিখিত উত্তরপত্র হাতে ধরা পড়ে। ওই মামলার তদন্তে আবেদ আলীর সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

গাড়িচালক হিসেবে পিএসসিতে চাকরি পেয়ে সৈয়দ আবেদ আলী প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রে জড়িয়ে পড়েন এবং কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিজ এলাকায় একজন শিল্পপতিতে পরিণত হন। এছাড়া, বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৯ জুলাই রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডের নিজ ফ্ল্যাট থেকে তাদের আটক করা হয়। একই অভিযানে পিএসসির দুজন উপ-পরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ আরও ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!