৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের মধ্যে বেশিরভাগই পুনরায় চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন, জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়াদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
সচিব বলেন, ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ পড়া ২২৭ জনের পুনরায় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত না হলে বাকিরা সবাই নিয়োগ প্রক্রিয়ার আওতায় আসবেন।
এর আগে, ২ জানুয়ারি, ৪৩তম বিসিএস থেকে ২২৭ জন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং ৪০ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার কারণে বাদ পড়েছিলেন, এ তথ্য জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. উজ্জ্বল হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় গত বছরের জানুয়ারিতে ২,১৬৩ প্রার্থীর নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। পরে, ১৫ অক্টোবর পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলা প্রশাসকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫৯ জনকে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় ৪০ জনকে বাদ দিয়ে ২,০৬৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পর এই নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সমালোচনা এড়াতে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে, প্রথমে সুপারিশকৃত ২ হাজার ১৬৩ প্রার্থীর বিষয়ে আবারও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআই-এর মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে ২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য পাওয়ায় তাদের সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়। এর পর তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৩০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিবেচনায় ২২৭ জনকে বাদ দিয়ে ১,৮৯৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে, সাময়িকভাবে বাদ পড়া ২২৭ জন প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হবে এবং এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :