দুদক সংস্কার কমিশন ৪৭ দফা প্রস্তাবনা তৈরি করেছে, আগামীকাল (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে। এই প্রস্তাবনার মধ্যে সরকারি কর্মজীবীদের গ্রেপ্তারে অনুমতি নিতে না-লাগার বিষয়সহ, দুর্নীতি দমন কমিশনের আমলা নির্ভরতা কমানোর সুপারিশ রয়েছে।
২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছিল রাষ্ট্রের দুর্নীতি দমন সংস্থা হিসেবে গঠনকৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা শুরুতে প্রশংসিত হয়েছিল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে কমিশন তার কার্যকর ভূমিকা তুলে ধরতে পারেনি এবং রাজনৈতিক সরকারের প্রভাবের অধীনে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।
৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রের সংস্কার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দুদক সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান গনমাধ্যকে বলেন, দুদক সংস্কারে ৪৭টি প্রস্তাবনা দেয়া হবে সরকারকে। যেখানে মোটা দাগে প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের কাছে দুদকের দায়বদ্ধ নিশ্চিত করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে পূর্ব অনুমতি নেয়ার বিধানও বাতিল হচ্ছে, দুদকের অভ্যন্তরে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দেয়া পদায়নে আসবে নিয়ন্ত্রণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, বর্তমান বাস্তবতায় সাবেক আমলাদের নিয়ে দুর্নীতির অনুসন্ধান দূরহ, সেখানে অভিজ্ঞদের সঙ্গে তরুণদেরও নিতে হবে।
দুদক কর্মকর্তদের পরিচয়গত দিক থেকে যে আইনী স্বীকৃতি সেখানেও পরিবর্তন আসবে। একচ্ছত্র ক্ষমতা যে প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে না, দায়বদ্ধ থাকবে জনগণের কাছে। এমন ৪৭ দফা প্রস্তাবনা গেল ৩ মাসে তৈরি করা হয়েছে ৫ সদস্যের এই কমিটি থেকে।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :