ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। শিক্ষাভবনের সামনে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা, এবং দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ব্যানারে ওই মিছিল শুরু হয়, পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ইভান তাহসিব, মারুফ হাসান ভূঁইয়া, সুমাইয়া আক্তার নামে তিন শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসি থেকে সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার ব্যানারে ওই মিছিল শুরু হয়। এরপরই এই ঘটনা ঘটে। প্রথমে শিক্ষাভবনে বাধা দেওয়া হয়। পরে কার্জন হল পর্যন্ত এসে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এর আগের দিন, বুধবার সকাল ১২টার দিকে `সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা` ব্যানারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একদল লোক পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতি পুনর্বহাল করার দাবিতে এনসিটিবি ভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করতে যান। একই সময়ে, পাঠ্যপুস্তকে `আদিবাসী` শব্দ অন্তর্ভুক্তি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে `স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি` নামে একটি সংগঠন এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে আসে। দুপুর ১২টা থেকে পৌনে ১২টার মধ্যে `সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা` ব্যানারের অধিকারীরা সেখানে উপস্থিত হন।
সেখানে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারধারীরা এনসিটিবির সামনে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে মাঝে অবস্থান নেয়। তখন দুই পাশ থেকে দুই পক্ষ পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। দুপুর ১টার দিকে কিছু লোক সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আসা দলটির ওপর হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক ও নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তারই প্রতিবাদে ছিল সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার ব্যানারে আজকের এই কর্মসূচি।
একুশে সংবাদ/আ.ট/ব.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :