জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বৈষম্য দূর হওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও, জাতিগত বিভেদ কমেনি বলে অভিযোগ তুলেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। তারা একইসঙ্গে রাজপথে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে তারা আদিবাসী শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এই মন্তব্য করেন।
বক্তারা বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ শত্রুদের চিহ্নিত করার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য গঠন সম্ভব। তারা আরও বলেন, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় পুলিশ নীরব থাকলেও, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ কেন আক্রমণ করেছে, এই প্রশ্ন তোলেন আহত শিক্ষার্থীরা।
পরে সন্ধ্যায়, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি রাজধানীর শাহবাগে মশাল মিছিল বের করে প্রতিবাদ জানায়।
এর আগে, ১৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পেছনের প্রচ্ছদে `আদিবাসী` শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি বাতিলের দাবি নিয়ে এবং এর বিরোধিতা করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নারীসহ কয়েকজন আহত হন, তাদের পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ওইদিন জানান, ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মতিঝিলে এনসিটিবি কার্যালয় ঘেরাও করতে যায়। সেখানে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ ব্যানারের একটি দলের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে।
তারা আরও জানান, সংঘর্ষে নারীসহ কয়েকজন আহত হন এবং তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানব ব্যারিকেড ভেঙে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আব্বাস ও আরিফ আল কবির নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ/
আপনার মতামত লিখুন :