কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা আনার পর সাবেক উত্তরা পূর্ব থানার ওসি শাহ আলম পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, সাবেক ওসিকে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হয়নি, বরং তাকে কুষ্টিয়ায় আটক রাখা উচিত ছিল, ঢাকায় আনার পর কেন পালিয়ে গেল সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, সাবেক ওসি শাহ আলম এখনও গ্রেপ্তার হতে পারেননি এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি হয়তো ভারত বা কাছাকাছি কোনো দেশে পালিয়ে গেছেন। তিনি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।
জানা গেছে, ৮ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলায় উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৯ জানুয়ারি তাকে আদালতে সোপর্দ করার সময় তিনি থানার ওসির কক্ষ থেকে পালিয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে যে, তাকে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে হাজতখানায় না রেখে ওসির কক্ষে রাখা হয় এবং পুলিশ সদস্যদের অবহেলায় তিনি পালাতে সক্ষম হন। তার গ্রেপ্তারের জন্য সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সমস্ত ইউনিট অভিযান চালালেও এখনও পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন।
পালানো ওসির খোঁজ মিলেছে কি না জানতে চাইলে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, সাবেক ওসিকে আমরা কুষ্টিয়া থেকে ধরে এনেছিলাম। পালানোর পর প্রশ্ন উঠেছে যে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো ধরিনি। যদি ছেড়েই দেব তাহলে কুষ্টিয়া থেকে ধরে আনার দরকার ছিল না। সেখানেই তো ছেড়ে দিতে পারত পুলিশ।
তিনি বলেন, বাস্তব কথা হচ্ছে যে একটু সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিল পুলিশ সদস্যরা। হাজতখানায় না ঢুকিয়ে একজন পুলিশ অফিসারের রুমে রাখা হয়। হাজতে থাকলে হয়ত পালাতে পারত না। একজন সাব ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। সেখানে সে হয়ত কেয়ারলেস হয়েছিল, এর ফাঁকে সেই সাবেক ওসি পালিয়ে গেছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা তাকে ধরার খুব চেষ্টা করছি। তবে আমার ধারণা সে হয়ত এ দেশে আর নেই, ইন্ডিয়া বা অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান, নির্বাহী সদস্য জিয়া খান, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ জাকারিয়া।
ডিএমপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম; উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান ও উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) শাহ মো. আব্দুর রউফ; মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জাহাঙ্গীর কবির।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :