AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পাকিস্তানি নাম্বার থেকে মেসেজ আসে, দুইটা ব্যাগ সন্দেহ করেছিলাম


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:০৬ পিএম, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
পাকিস্তানি নাম্বার থেকে মেসেজ আসে, দুইটা ব্যাগ সন্দেহ করেছিলাম

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া জানান, হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা পাওয়া গেছে, পাকিস্তানি নম্বর থেকে পাঠানো। ওই বার্তায় কিছু তথ্য দেওয়া হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে দুটি ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়েছিল, তবে তাতে কিছু পাওয়া যায়নি।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য দেন।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রোম থেকে ঢাকায় এসে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে অবতরণ করে। বিমানে ২৫০ জন যাত্রী এবং ১৩ জন ক্রু ছিলেন।

তিনি বলেন, "বিমান অবতরণের পর আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করেছি। প্রতিটি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করেছে। যাত্রীদের দ্রুত এবং সুশৃঙ্খলভাবে বিমান থেকে নামিয়ে, তিন-চারটি লাইনে ভাগ করে দ্রুত চেক সম্পন্ন করে টার্মিনালে আনা হয়েছে। তাদের জন্য টার্মিনালে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রতিটি যাত্রী সহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন, যা আমাদের কাজকে সহজ করেছে।"

তিনি আরও বলেন, এত বড় অপারেশনে কোনো ছন্দপতন হয় নাই। আমি বিমান বাহিনীর প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব। তাকে সংবাদটা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই হাজির হয়ে গেছে।

বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, যখন আমরা তদন্ত করি তখন দুইটা ব্যাগে সন্দেহ করেছিলাম। আমরা প্রতিটা লাগেজ স্ক্যানিং করে নামিয়েছি। নীচে আবার স্ক্যানিং করেছি। টোটাল জিনিসটা খুব সুন্দর করে করা হয়েছে। সবাই সুস্থ আছেন ভালো আছেন।

বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কন্ট্রোলরুমে মেসেজটি এসেছে, সেখান থেকে চলে গেছে ইডির রুমে, সঙ্গে সঙ্গে ইউএসই টিমকে অ্যালার্ট করা হয়।আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে অ্যাকশনে নেমে পড়ি।  আমরা যখন যাত্রীদের প্রাণ নিয়ে কাজ করি, একটা থ্রেড হল, আমাদের শতভাগ প্রস্তুত নিয়ে কাজ করতে হয়। কারণ আমরা তো তখন জানি না যে একটা রিয়েল নাকি আনরিয়েল।

তথ্যদাতার সঙ্গে একাধিকবার মেসেজ আদান-প্রদান হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য দাতা দুজনের কথা বলেছেন। তথ্য তথা একটি লাগেজের ছবিও দিয়েছেন। এই ধরনের লাগেজ হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। উনাকে কল করা আছে কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেন না। আমরা থ্রেট পাইলে যে প্রসেস নেওয়া দরকার আমরা সেটাই নিয়েছি। আমরাও সতর্ক ছিলাম, এটা  হয়ত আমাদের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য অন্য কোনো ঝামেলাও হতে পারতো। অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, যাতে প্রত্যেক লাগেজ, সতর্কতার সঙ্গে চেক করা হয়।

 

একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস

Link copied!