`বিএনপি মনে করে এই সরকার এসেছে কেবল একটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য। তবে এই সরকার শুধুমাত্র এ উদ্দেশ্যে আসেনি। এটি এসেছে একটি গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায়। অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত এই সরকার বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব পালন করবে। এর মধ্যে বিচার ও সংস্কারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।`
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা এক এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, এক-এগারো এবং মাইনাস টু-এর রাজনীতির আলোচনাটা কিন্তু শুরুতে বিএনপিই মাঠে এনেছে। আমরা এই সরকারকে নিরপেক্ষই ভাবছি। কিন্তু বিএনপি কেন ভাবতে পারছে না সেটা তাদেরকে স্পষ্ট করা উচিত বলে আমি মনে করি। তারা কেন যেনো মনে করে এই সরকার এসেছে কেবল একটি নির্বাচন দেয়ার জন্য। কিন্তু শুধু এর জন্য এই সরকার আসে নাই। এই সরকার এসেছে একটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে। একটি অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য। যেই সময়ের মধ্যে তারা বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন করবে। বিচার এবং সংস্কার আমাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি। আমরা ছাত্ররা এখানে এসেছি সরকারের ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করতে।
তিনি আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মূল যেই লক্ষ্য সরকার সেটি বাস্তবায়ন করতে পারে কি না সেটি দেখার জন্যই আমরা ছাত্ররা এখানে এসেছি। নিরপেক্ষ সরকারের প্রসঙ্গে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের একই সুর দেখা যাচ্ছে। এতে কিন্তু একটি সন্দেহের সৃষ্টি হচ্ছে।
আওয়ামী লীগে ফিরবে কি না সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, নিরপেক্ষ সরকার মানে এই নয় যে আওয়ামী লীগের প্রতি নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে, তাদেরকে জায়গা করে দিতে হবে। এটা কখনোই সম্ভব হবে না। তাদের যারা গুম, খুন, চাঁদাবাজি, টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদেরকে বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে। এই কাজটা তো আমরা সমন্বয় করে করতে চাই। আমরা মনে করি আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো নৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার নেই। নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে বিচারিক কাজে সংশ্লিষ্টরা একটি স্পষ্ট বক্তব্য দেবেন।
রাজনৈতিক দল গঠন ও ছাত্র উপদেষ্টাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে।
একুশে সংবাদ/ব/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :