নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তৃতীয় সভায় বসছে, ভোটার তালিকা আইন, সীমানা নির্ধারণ আইন এবং পর্যবেক্ষণ নীতিমালাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্যসূচি থাকবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের বিভিন্ন সুপারিশ নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও সংস্কার কমিশন কিছু সুপারিশ দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। এক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
তৃতীয় সভায় যেসব বিষয় আলোচনায়
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সীমানা নির্ধারণ আইনসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আইন পর্যালোচনা করবে। আইন পর্যালোচনার পাশাপাশি মোট ১১টি বিষয় সভার আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে এ বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত থাকবেন।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান, কমিশনের তৃতীয় সভায় ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ পর্যালোচনা; জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ পর্যালোচনা; নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৩ এবং গাইডলাইনস ফর ইন্টারন্যাশনাল ইলেকশন অবজারভার অ্যান্ড ফরেন মিডিয়া পর্যালোচনা; নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ভাতার হার নির্ধারণ এবং প্রশিক্ষণার্থী ও প্রশিক্ষক নির্বাচন বিষয়ে পর্যালোচনাসহ বেশ কিছু বিষয় রয়েছে।
তিনি বলেন, সভার কার্যপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এজেন্ডার বাইরে কোনো বিবিধ কি আলোচনা হতে পারে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সংস্কার বিষয়ক তথ্য এজেন্ডায় নেই।
আলোচ্যসূচিতে আরও রয়েছে- বিভিন্ন দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের শর্ত/পদ্ধতি/সীমাবদ্ধতা পর্যালোচনা, নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নীতিমালা, ডিআরএস সম্পর্কিত বিষয়াদি, ব্ল্যাঙ্ক কার্ড সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়াদি, প্রস্তাবিত জাতীয় নির্বাচনি পদক নীতিমালা, ২০২৫ এর উপর আলোচনা, আইডিইএ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের মেয়াদ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, নির্বাচন কমিশনে বিদ্যমান প্যানেল আইনজীবী তালিকা হালনাগাদকরণ এবং বিদ্যমান সম্মানী/ফি কাঠামো পর্যালোচন।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :