শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের জানিয়েছেন, রাজধানীর তিতুমীর কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা চায়, তাদের পড়াশোনা সুষ্ঠুভাবে চলুক। তিনি এ কথা জানান সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে।
সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবির জন্য যৌক্তিকতা থাকা প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, রাজধানীর ৭টি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করা হবে।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মন্তব্য করেন, “জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে আন্দোলন কর্মসূচি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না। যেহেতু একটি কমিটি করা হয়েছে, সেই কমিটিকে তিতুমীরের বিষয়টা গুরুত্বসহকারে দেখতে বলা হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণকে কিন্তু অতিষ্ট করে ফেলছে। তারা দিনের পর দিন দাবি দাওয়া বেড়েই চলছে। এটার পিছনে কারা জড়িত আছে আপনারা কিন্তু জানেন।’
এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রাজধানীর মহাখালী রেলক্রসিংয়ে রেললাইন অবরোধ করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকার সঙ্গে পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সাথে মোতায়েন করা হয়েছে ৪ প্লাটুন বিজিবি।
এরআগে বেলা ১১টায় টানা পঞ্চম দিনের মতো কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী।
এসময় রাস্তার দু`পাশে বাঁশ দিয়ে আটকে সড়কের যানচলাচল বন্ধ করে দেন তারা। তৈরি হয় ভোগান্তি। অনেকে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই রওনা হন গন্তব্যের পথে। এসময় চলাচলকারী সবার মুখেই ছিলো বিরক্তির ছাপ।
এরপর মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা মহাখালী রেলগেট অভিমুখে রওনা হন। যানজটে দুর্ভোগে পড়ে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন।
এরপর সোমবার বিকেল পৌনে ৪টায় মহাখালী রেলগেটে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা, বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল। বাধা পেয়ে কমলাপুরের দিকে ফিরে যায় উপকূল এক্সপ্রেস। তখন সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ ও বিজিবি।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :