তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করতে বললেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তাদের শিক্ষাজীবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিও সরকার আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল। এই মুহূর্তে হয়ত অনেক কিছু করা সম্ভব না। জনভোগান্তি না করাই ভালো। আশা করি সবার জন্য ভালো কিছু হবে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদেরকে বলবো ধৈর্য ধারণ করতে। তাদের প্রতিও সরকার আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল। কিন্তু এই মুহূর্তে হয়তো অনেক কিছু করা সম্ভব না। তাই জনভোগান্তি না করে সেই বিষয়টা ও মাথায় রাখা উচিত। আশা করি ভালো কিছু হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে কোনো যৌক্তিক দাবির প্রতি ইতিবাচক এবং তা পূরণ করার চেষ্টা করা হয়। নাহিদ বলেন, সাত কলেজের সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে একটি জটিল সমস্যায় পরিণত হয়েছিল। বিগত সময়ে শিক্ষা বিষয়ক একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবনে একটি প্রভাব পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, সরকার প্রথম থেকে সাত কলেজের সমস্যাটি সমাধান করতে সচেষ্ট। ৭ কলেজের প্রত্যেকটি কলেজকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। সেটি হয়তো ইতিবাচক কোনো কিছু বয়ে আনবে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি রিকশাওয়ালা সেজে এসেছিল। পরে বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের সাথে তাদের ছবি দেখা গেছে।
ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেও আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা আছে মন্তব্য করে আসিফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় না আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই তাদের মতাদর্শ বা নাম নিয়ে আবার ফিরে আসুক। কারণ এটা বাংলাদেশের সকল জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। সেই জায়গা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও সতর্ক আছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :