রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে গেছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
চিকিৎসকরা হাসপাতালের পরিচালক ও যুগ্ম পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক সমাজের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট পরিচালক অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ ও যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলমের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা কাজে ফিরে যাবেন না।
চিকিৎসক ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন, চার মাসে আগে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল থেকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মন্ডলকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। সম্প্রতি তাকে আবার ফিরিয়ে আনা হলে চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
এর প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে সকালে হাসপাতালের ৪০২ নম্বর রুমে জড়ো হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সে সময় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মীরা আউটডোর ও টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেন। তারা মিছিল নিয়ে ৪০২ নম্বর রুমের সামনে যান এবং সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
হামলাকারীরা হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের অনুগত বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে আজ চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল। সেখানে পরিচালক চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা ও আউটসোর্সিংয়ের লোকদের দিয়ে হামলা করিয়েছে। বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক আহত হয়েছেন। এমনকি কয়েকজন চিকিৎসককে রুমে আটকে রেখেছেন। আমরা এই ফ্যাসিস্ট দীন মোহাম্মদ ও জয়েন্ট ডিরেক্টর বদরুলের পদত্যাগ চাই।
বিষয়টি জানতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এবং উপ-পরিচালক ডা. বদরুল আলম মণ্ডলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ধরেননি।
একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :