নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামীকাল রোববার (২ মার্চ) চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। একই দিনে জাতীয় ভোটার দিবসও উদযাপন করা হবে।
তবে গত বছর শুরু হওয়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হবে জুনে। আইনি জটিলতা থাকলেও নির্বাচনের তফসিলের আগ পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চায় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোটার দিবস পালনের কথা জানিয়েছে।
দিবসকে কেন্দ্র করে নাগরিকদের ভোটার হতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রচার কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ২০২৪ সালে হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এতে নতুন করে যুক্ত হয় আরো ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ভোটার। এতে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ৩৭ লাখে। আপত্তি শুনানি শেষে আগামীকাল ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
তবে প্রত্যাশিত সংখ্যায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এবং মৃত ভোটার বাদ না যাওয়ায় এই তালিকা অসংগতিপূর্ণ জানিয়ে ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদের কাজ শুরু করে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর হবে, তারাও এবার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশন বলছে, হালনাগাদ সঠিকভাবে হলে প্রায় ৬২ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হবে তালিকায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন ভোটার এবং বাদ পড়া ভোটার মিলিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫৪ লাখ ৯২ হাজার নাগরিক। এদিকে মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ১৭ লাখ।
ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী প্রতিবছর হালনাগাদ শেষে ২ মার্চ প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। সে অনুযায়ী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে হালনাগাদ শুরু হয়েছে তাতে এই তালিকার খসড়া প্রকাশ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হলে ২০২৪ সালের তালিকা যা মার্চের দুই তারিখ প্রকাশ হবে তা নিয়েই ভোট করতে হবে কমিশনকে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, ভোটার নিবন্ধন আইনে সংশোধনী আনা হবে। তবে কোন তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে নতুন ভোটারদের তা ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইসি সচিব আরো জানান, ৩০ জুনের মধ্যে নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :