ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা রেখে সংশোধিত আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় ৯০ দিনের মধ্যে বিচার করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ না হওয়ার অজুহাতে আসামিকে জামিন দেওয়া যাবে না। প্রশাসনের কোনো গাফলতি থাকলে শাস্তির সুনির্দিষ্ট বিধান আইনে যুক্ত করা হবে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে ধর্ষণ মামলায় ডিএনএ সার্টিফিকেট লাগত। অনেক এলাকায় ডিএনএ নেওয়ার সুবিধা নেই। শুধু ভিক্টিম না অভিযুক্তেরও একটি সার্টিফিকেট লাগত। এ জন্য মামলায় দেরি হয়ে যেত, আমরা সংশোধন আনব। শুধু উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করে মেডিকেল সার্টিফিকেটই যথেষ্ট তাহলে সে ব্যবস্থা তিনি নিতে পারেন। মাগুরার মতো অনেক ঘটনাতেই আসামিরা হাতেনাতে ধরা পরে। এ সমস্ত ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য সময়ক্ষেপণ রোধ করতে এই পরিবর্তনটা আমরা আনার চেষ্টা করছি।’
আইন উপদেষ্টা জানান, প্রতিটি জেলায় ডিএনএ ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনে ব্যবস্থা নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
আসিফ নজরুল আরও জানান, রাস্তাঘাটে যৌন হয়রানি রুখতে একটি হটলাইন চালু করতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ‘এটি হবে টোল ফ্রি। এটি তদারকি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ডেডিকেটেড সেল থাকবে। ধর্ষণ মামলার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ও একটি সেল করবে।’
নারীর প্রতি সহিংসতা কোনোভাবে গ্রহণ করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সুবিচার হবে। ধর্ষণ বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। এক্ষেত্রে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। আইন সংশোধনের বিষয়টি আলোচনা করেছি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে একটা ফল পাওয়া যাবে।’
এ সময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘ধর্ষণ রোধে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরি করা হবে। যে ইস্যুগুলো আছে যেমন মব জাস্টিজ, জঙ্গি ইস্যু সামনে আসতে পারে, এগুলো আমরা মনিটর করার চিন্তা করছি। মিডিয়া কিভাবে ফোকাস করবে, আমরা তাদের সাথে বসব। বসে এমন ভাবে পরিকল্পনা করার চেষ্টা করব যাতে জনগণ সঠিক তথ্য পায়।’
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :