স্বাস্থ্য খাতবিষয়ক সংস্কার কমিশন চিকিৎসকদের জন্য পৃথক স্বাস্থ্য ক্যাডার প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করতে যাচ্ছে, যার নাম হবে ‘বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিসেস’।
কমিশনের প্রতিবেদনে কিছু নির্দিষ্ট রোগনির্ণয় পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ, ওষুধের দাম সহনীয় রাখা, চিকিৎসক ও ওষুধ কোম্পানির সম্পর্কের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, বেসরকারি হাসপাতালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসার সুযোগ নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্বাস্থ্য খাতবিষয়ক সংস্কার কমিশন সূত্রে, প্রতিবেদনের এসব বিষয় সম্পর্কে জানা গেছে। কমিশন তাদের প্রতিবেদন পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই জমা দিতে পারে।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কারবিষয়ক কমিশন তাদের কাজের সুবিধার্থে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘সিক্স বিল্ডিং ব্লকস’ নামে পরিচিত কাঠামোকে বেছে নিয়েছে। এই কাঠামোয় আছে ছয়টি উপাদান, যা স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভিত্তি বা মৌলিক উপাদান বলে গণ্য করা হয়। এগুলো হলো স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য জনবল, স্বাস্থ্য তথ্যব্যবস্থা, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ, স্বাস্থ্যে অর্থায়ন এবং নেতৃত্ব-সুশাসন। একটি দেশের স্বাস্থ্য খাতের পরিস্থিতি কী, তা জানা-বোঝার জন্য এগুলোকে নজরদারি ও পর্যালোচনার হাতিয়ার বা টুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আগামী দু-এক দিনের মধ্যে কমিশন প্রতিবেদন জমা দেবে।
জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, স্বাস্থ্য খাতবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিশনের ছয়জন সদস্যকে ছয়টি বিষয়ের প্রধান করে দেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে প্রত্যেক সদস্য একে অন্যকে তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন প্রস্তুত করার কাজে সহায়তা করেছেন বলে জানা গেছে।
কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, কমিশন জনগণের মনোভাব, চাহিদা ও পরামর্শ জানার জন্য সাত বিভাগে (ঢাকা বিভাগ বাদ) সাতটি কর্মশালা বা সেমিনার করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটি বা সংগঠনের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেছে ও তাদের কাছ থেকে লিখিত মতামত নিয়েছে কমিশন।
কমিশনের অনুরোধে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশব্যাপী একটি জনমত জরিপ করেছে। ওই জরিপে উঠে আসা মানুষের মতামত ও চাহিদাকেও কমিশনের প্রতিবেদনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :