AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
প্রধান উপদেষ্টা:

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১১:২০ এএম, ৪ এপ্রিল, ২০২৫
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করাই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করাই তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।

তিনি বলেন, “আমি আমাদের জনগণকে আশ্বস্ত করেছি—প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব, যেমনটা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব।”

শুক্রবার (৪ এপ্রিল), থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “১৯৭১ সালে আমাদের জনগণ একটি নৃশংস সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেছে। লাখো নারী, পুরুষ, শিশু ও তরুণ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্নে।”

তিনি বলেন, “আমাদের জনগণ এমন একটি সমাজ চেয়েছিল—যেখানে ন্যায়বিচার, সমতা ও স্বাধীনতা থাকবে, আর প্রত্যেক মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে।”

কিন্তু দুঃখের বিষয়, গত ১৫ বছরে জনগণ—বিশেষ করে যুবসমাজ—ধাপে ধাপে তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা হারিয়েছে। তারা রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় এবং নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের সাক্ষী হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জনগণ এক নির্মম স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু এই সংগ্রামে প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ১১৮ জন শিশু এবং অধিকাংশই তরুণ।”

ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ তাদের ইতিহাসে এক নবজাগরণ দেখেছে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা আমাকে আহ্বান জানিয়েছেন এই সংকটময় সময়ে দেশের দায়িত্ব নিতে। আমি জনগণের স্বার্থে সে আহ্বানে সাড়া দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা—এগুলোই সরকারের সংস্কার পরিকল্পনার মূল ভিত্তি।

এজন্য সরকার বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। ইতোমধ্যে এসব কমিশন তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং সরকার তা সক্রিয়ভাবে পর্যালোচনা করছে।

ড. ইউনূস জানান, তিনি নিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাত সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর, যেখানে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রধানরাও সদস্য হিসেবে আছেন। এই কমিশনের কাজ হচ্ছে—প্রাপ্ত সুপারিশগুলো যাচাই করে বাস্তবায়নের উপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া।

সম্প্রতি সরকার আরও চারটি কমিশন গঠন করেছে—গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী অধিকার নিয়ে নীতিগত দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা দেশ পুনর্গঠনের পথে এগোচ্ছি এবং প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার—হোক সে নারী, জাতিগত কিংবা ধর্মীয় সংখ্যালঘু—নিশ্চিত করতে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন থাই প্রধানমন্ত্রী ও বিমসটেক সম্মেলনের চেয়ারপারসন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা, বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মনি পান্ডে এবং সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।

 

 

একুশে সংবাদ//ঢ.প//এ.জে

Link copied!