জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পরিচালনার জন্য সরকার এখনই পদক্ষেপ নেবে না, এমন তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তাজুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশই এই বিচার করতে সক্ষম। এজন্য আইসিসিতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
মাসখানেক আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সাথে বৈঠকে চিফ প্রসিকউটরের উপদেষ্টা টবি ক্যাডম্যান পরামর্শ দিয়েছিলেন জুলাই গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠাতে। এরপর অনেকেই একই পরামর্শ দেন।
তবে মঙ্গলবার বিষয়টি পুরোপুরি নাকচ করে দেন আইসিটির চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তবে আইসিসি থেকে কারিগরি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ তার।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ এই বিচার করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও ইচ্ছুক। বাংলাদেশের সেই সামর্থ্য আছে। সুতরাং ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে, আসামিরা এই বাংলাদেশেই বাস করেন বা বাংলাদেশের আশেপাশেই আছেন, সাক্ষীরা এখানকার। তাই এই বিচার বাংলাদেশের আদালতে হবে এটাই হচ্ছে স্বাভাবিক বিষয়। মামলাগুলো বিচারের জন্য আইসিসিতে প্রেরণ করা হবে না এটাই এখন পর্যন্ত আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত।’
এদিকে ঢাকায় সংঘটিত নানা অপরাধের সাথে ঢাকার বাইরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাও এগুচ্ছে সমান তালে। চট্টগ্রামে ৯ জনকে হত্যার ঘটনায় সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনালে। সরাসরি গুলি করা এক যুবলীগ নেতাকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের মামলায় ৪৫৯ জন আহতের খবর আমরা পেয়েছি। ৯ জন শহীদের তথ্য পাওয়া গেছে। আসামি যে কয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তার বাহিরেও অনেকের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের তদন্ত সংস্থা দিনরাত কাজ করছে।’
এদিন প্রসিকিউশন আরও জানিয়েছে, আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দু-একদিনের মধ্যেই প্রসিকিউশনের কাছে পৌঁছাবে। এরপর ট্রাইব্যুনালে এই মামলার ফরমাল চার্জ দাখিল করা হবে।
একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :