রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে বাংলাদেশে আগামী ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তবে দলগুলো যদি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেয়, সে ক্ষেত্রে ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হতে পারে বলেও তিনি জানান।
এ সময় ড. ইউনূস বলেন, “বর্তমান সময়টি একটি রূপান্তরকাল, যেখানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ অত্যন্ত জরুরি বিষয়।”
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তি করেন।
বৈঠকে, ব্যারোনেস উইন্টারটন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী এবং বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাত কার্যকর করতে যুক্তরাজ্যের সহায়তা কামনা করেন, কারণ বর্তমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশে নার্সের ঘাটতি রয়েছে, তবে নার্সিং বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। আমরা এমনভাবে নার্সদের প্রশিক্ষণ দিতে চাই, যাতে তারা বিশ্বব্যাপী অবদান রাখতে পারে।
এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং ভ্যাকসিনের পেটেন্ট সুরক্ষা তুলে নেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যকে সোচ্চার ভূমিকা নিতে আহ্বান জানান, যাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও কম খরচে সামাজিক ব্যবসার মডেলে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, শিক্ষা, বস্ত্রশিল্প, প্রতিরক্ষা এবং বিমান চলাচল খাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ, এবং উভয় পক্ষ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় এবং দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্ব দেন।
নারী ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নারীর অংশগ্রহণ আমাদের উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে এবং সরকার সবসময় নারীর সমঅধিকারকে অগ্রাধিকার দেয়।
এ বৈঠকে বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :