পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
তিনি বলেন, আলোচনা চলাকালে উভয় পক্ষই সংযম ও শান্ত মনোভাব বজায় রেখেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ওমান স্থানীয় সময় শনিবার (১২ এপ্রিল) প্রথম দফা আলোচনার পর আগামী সপ্তাহে ফের সংলাপের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ওয়াশিংটন ও তেহরান।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ইরান ও অ্যামেরিকার এ সংলাপের উদ্দেশ্য তেহরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি জোরদারের বিষয়ে অ্যামেরিকার অবস্থানের বিষয়টি জানানো। এ নিয়ে কোনো চুক্তি না হলে ইরানে সামরিক তৎপরতা চালানোর হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ, শান্ত ও ইতিবাচকভাবে হয়েছে। আমার মনে হয়, আমরা আলোচনার রূপরেখার খুব কাছাকাছি আছি। আর যদি আগামী সপ্তাহে এই ভিত্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারি, তবে সেটি একটি বড় অগ্রগতি হবে। আমরা সেই ভিত্তির ওপর বাস্তব আলোচনা শুরু করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ আলোচনার অন্যতম লক্ষ্য দুদেশের আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানো, বন্দি বিনিময়, ও কিছু সীমিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ।’
ট্রাম্পের দুই মেয়াদে এবারই প্রথম তেহরানের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসল ওয়াশিংটন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে রাজি হয়েছে।’ এ আলোচনার বিষয়ে অ্যামেরিকার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ইরানের চাওয়া অনুযায়ী, দুই দেশের আলোচনাটি ছিল পরোক্ষ। তবে ট্রাম্প চেয়েছিলেন দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়ে এ আলোচনা করুক।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেয়ি জানান, দুই পক্ষ আলাদা আলাদা রুমে ওমানের মাধ্যমে তাদের বার্তা পৌঁছে দেয়।
অন্যদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি বলেন, আলোচনা শেষে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সামনাসামনি দেখা হয়েছে ইরানের প্রতিনিধিদলের।
একুশে সংবাদ/ব.জ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :