পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর রমনার বটমূলে আজ ভোরের প্রথম আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এবারের আয়োজনে মূল প্রতিপাদ্য—‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’, যা নিঃসন্দেহে এক আশাবাদী বার্তা এনে দিয়েছে নতুন বাংলা বছরের সূচনায়।
৭২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের অর্ধবৃত্তাকার মঞ্চে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাজারো সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ। ধ্বনিত হয় আলো, প্রকৃতি, মানবতা ও দেশপ্রেমে পূর্ণ সংগীত। পুরো আয়োজনজুড়ে ছায়ানট পরিবেশন করছে মোট ২৪টি পরিবেশনা—যার মধ্যে রয়েছে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক কণ্ঠের গান এবং ৩টি আবৃত্তি।
নববর্ষের কথন পাঠ করেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী। যথারীতি আয়োজনের শেষ মুহূর্তে সকলের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় জাতীয় সংগীত—একটি ঐক্যের বার্তা নিয়ে।
শিল্পীদের পোশাকে ছিল ঐতিহ্যের ছোঁয়া—পুরুষরা পরেছেন মেরুন রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা পায়জামা, আর নারীরা মেরুন পাড়ের অফ হোয়াইট শাড়ি। মঞ্চসজ্জাতেও ছিল সেই মেরুনের ছাপ, যা ছিল চোখজুড়ানো।
এ আয়োজনে প্রতিবারের মতো এবারও ছায়ানট দেখিয়েছে তার সুদীর্ঘ প্রস্তুতির ফল। প্রায় তিন মাস ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে চলে গানের মহড়া, আর ৮ এপ্রিল থেকেই শুরু হয় রমনার বটমূলে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ।
১৯৬৭ সাল থেকে এই আয়োজন প্রতিরোধ আর প্রতিবাদের সাংস্কৃতিক প্রতীক হয়ে উঠেছে। এবারের আয়োজনও এর ব্যতিক্রম নয়—নতুন বছরের সূচনায় বাংলাদেশ পেয়েছে নতুন প্রেরণা, নতুন আশাবাদ।
শুভ নববর্ষ ১৪৩২!
একুশে সংবাদ// চ.ট//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :