সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার মোট ৯টি জেলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটেছে কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, শরীয়তপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
কুমিল্লা
কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বরুড়ায় মাঠে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই স্কুলছাত্র — ফাহাদ হোসেন (১৩) ও মোহাম্মদ জিহাদ (১৪)। অপরদিকে মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার এলাকায় ধানক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিখিল দেবনাথ (৫৫) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩২) নামের দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। এ সময় আরও দুইজন আহত হন।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অষ্টগ্রামের খয়েরপুর হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫) বজ্রপাতে প্রাণ হারান। একই সময়ে মিঠামইনের শান্তিগঞ্জ এলাকায় ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা যান ফুলেছা বেগম (৬৫)।
নেত্রকোনা
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক দিদারুল ইসলাম (২৮) নিজ বাড়িতে বজ্রপাতে মারা যান। একই জেলায় মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু আরাফাত (১০) বজ্রঘাতে প্রাণ হারিয়েছে।
মৌলভীবাজার
বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মাখন রবি দাস (৪৮) নামে এক চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান কলেজছাত্র রিমন তালুকদার। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার হাওরে ধান কাটার সময় দুর্বাসা দাস (৩৫) বজ্রাঘাতে প্রাণ হারান এবং তার ভাই-বোনসহ আরও তিনজন আহত হন। একই উপজেলার বাগহাতা গ্রামে এক কিশোর আহত হয়েছে।
মৌলভীবাজার
বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মাখন রবি দাস (৪৮) নামে এক চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে সেফালী বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
চাঁদপুর
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় বজ্রপাতের শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামে ধান কাটার সময় চা শ্রমিক মাখন রবি দাস (৪৮) বজ্রাঘাতে নিহত হন। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ঘাস কাটার সময় বজ্রপাতে প্রাণ হারান সেফালী বেগম (৩৫)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চর-মরিচাকান্দি এলাকায় কৃষিকাজ শেষে ফেরার পথে বজ্রাঘাতে মারা যান কৃষক মানিক মিয়া (৬৫)। এ ঘটনায় আহত হন তার সঙ্গী হানিফ মিয়া (৬০), যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বজ্রপাতে নিহতদের বেশিরভাগই কৃষক বা খোলা জায়গায় কাজ করছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সরকারি সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ//স.কা//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :