দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি ২০২৪ )। বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যেই মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠনটি।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবের পৃষ্ঠপোষকতায় এক ঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে সেদিন যাত্রা শুরু করে ছাত্রলীগ। ৭৬ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, ৫৪’র সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে যুক্তফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত, ৫৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, ৬৬’র ৬ দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া, ৬ দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাক শাসকের পদত্যাগে বাধ্য করা এবং বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা, ৭০’র নির্বাচনে ছাত্রলীগের অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরে জাতীয় রাজনীতিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান জাতীয় রাজনীতির অনেক শীর্ষনেতার রাজনীতিতে হাতেখড়িও হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে।
আজকের বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ও জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা.এম এম মাজেদ তাঁর কলামে লিখেন...আমি একজন কলামিস্ট হিসেবে যেই জিনিসটা অনুধাবন করলাম,ছাত্রলীগ শুধু বিরোধী দলেই নয়, মূল দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও ছাত্রলীগ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এবং মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ছাত্র সমাজের ন্যায্য দাবি আদায়ে জোড়ালো ভূমিকা রেখেছে। হলের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। যখনই অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে, তখনই রাজপথে সক্রিয় ছিল ছাত্রলীগ।
আদর্শ ও নীতি ছাড়া কোনোদিন নেতৃত্ব তৈরি হয় না। নীতি ছাড়া কেউ কোনোদিন মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জাতিকে কিছু দিতে পারে না। নীতি ও আদর্শ ছিল বলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য অবদান রাখতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময়ে কোনো কাজ করতে চাইলে অধিকাংশ সময় তা ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু করতেন। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন ছাত্রনেতাদের চিঠি লিখে আন্দোলনের গতি বেগবান করতে দিকনির্দেশনা দিতেন। বলা যায়, ছাত্রদের রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং তাদের সংগঠিত করার প্ল্যাটফরম হিসেবে তিনি ছাত্রলীগকে প্রাধান্য দিতেন।
দেশের বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন, একাত্তরের ১৭ হাজার নেতাকর্মীর আত্মত্যাগে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, তথাকথিত এক-এগারো সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-ইতিহাসের সবখানেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। গর্বের সঙ্গে বলা যায়, যে কোনো সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রয়েছে অনন্য অবদান।আর ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে খুনী খন্দকার মোস্তাকসহ আওয়ামী লীগের একাংশ ক্ষমতা দখল করলে ছাত্রলীগ খুনী মোস্তাকের বিরুদ্ধে কালবিলম্ব না করে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়। খুনী মোস্তাকের ৮৩ দিনের শাসনকালেও পূর্বের মতই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর রাষ্ট্রীয় নির্যাতন-নিপীড়ন অব্যাহত থাকে। খুনী মোস্তাকের পথ ধরে জিয়া ও এরশাদ দেশের উপর সামরিক শাসন চাপিয়ে দিলে ছাত্রলীগ জিয়া ও এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে মারমূখী সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। ১৯৮২ সালে এরশাদ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগই প্রথম আন্দোলনের সূত্রপাত করে। এরশাদ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-গণআন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল, শাজাহান সিরাজ, ডাঃ মিলন, জাহাঙ্গীর, মুন্নাসহ ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী শহীদ হন। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যূত্থানে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
মোস্তাক-জিয়া-এরশাদের ছত্রচ্ছায়ায় স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরসহ সাম্প্রদায়িক শক্তির পুনরুত্থান ঘটলে ছাত্রলীগ এরশাদ সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশাপাশ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে জুয়েল, তপন, মুনির, পিটুসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী শহীদ হন। ১৯৯০ সালের পর দেশে সাংবিধানিক শাসন প্রক্রিয়া চালু হলেও নির্বাচিত সরকারসমূহ ৯০ এর গণঅভ্যূত্থানের চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে স্বৈরাচারী পথে গেলে ছাত্রলীগ ছাত্রদের অধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়। ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঐতিহাসিক গণআদালত গঠন ও গণআদালতের রায় বাস্তবায়নে গড়ে ওঠা দেশব্যাপী গণআন্দোলনে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলনে মুকিমসহ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী শহীদ হন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমলে রাষ্ট্রীয় মদদে মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তির পুনরুত্থান ঘটলে ছাত্রলীগ মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে তোলা এবং গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইতিহাস বলে, দেশের যে কোনো সংকটকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার সর্বোচ্চ দিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে ছাত্রদল ও শিবিরের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। তখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অছাত্রদের সংগঠন ছাত্রদল ও রগকাটা বাহিনী ছাত্রশিবিরকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয় আনে। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনকে বিনা কারণে গ্রেফতার করে কারাগারে অন্তরিন করে রাখে। ওই সরকারের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে ফিরিয়ে আনার জন্য ছাত্রলীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদককে সরকার মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
২০০৭ সালের ২৭ জুলাই দিনটি ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের জন্য এক কালদিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য বাংলা ও বাঙালির প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সুধাসদন থেকে যৌথ বাহিনী দ্বারা গ্রেফতার করে। নেত্রীর মুক্তির দাবি করে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের করে জজকোর্টের সামনের রাস্তা অবরোধ করে। সে দিনের মিছিল আলোড়ন সৃষ্টি ও শাসকগোষ্ঠীর মাঝে ভীতির সঞ্চার করতে সক্ষম হয়। বাংলার গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রবল চাপে ও আন্দোলনের মুখে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় ফখরুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যার নেপথ্যে রয়েছে ছাত্রলীগের অবদান। এছাড়া সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম সারা বাংলাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘সেভ ক্যাম্পাস ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। ‘সেভ ক্যাম্পাস ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রলীগকে ইতিবাচক কর্মসূচিতে যুক্ত করেন সজীব ওয়াজেদ জয়; যা নতুন করে ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে প্রভাববিস্তার করতে সক্ষম হয়। সে ধারাবাহিকতায় বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ছাত্রলীগকে নিয়ে গেছেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়; বিশেষ করে বৈশ্বিক এ করোনাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। কর্মহীন ও অসহায় হয়ে পড়া দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। শুধু ত্রাণ কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ নয়, করোনায় মৃতদের লাশ দাফনের মতো মহান কাজও করেছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এমন মানবিক আচরণ সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
পরিশেষে বলতে চাই,বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ ও উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের লক্ষে ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মী রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের ইতিহাসে যেমনই হাজার হাজার যোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে তেমনই কিছু সংখ্যক অযোগ্য নেতার জন্ম হয়েছে। যার কারণে মাঝে-মধ্যে বিতর্কিত হতে হয় বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংঠনটিকে। তবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী নেতৃত্বে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অবিচল। ছাত্রলীগ সব ভুল সংশোধন করে আগামীদিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় কাজ করে গেলে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে।আর ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরব, অহঙ্কার, স্বর্ণালী অতীতের ধারক-বাহক হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল ও স্বার্থক হোক এই কামনা করছি,প্রতিষ্ঠার ৭৬ বছর ও ৭৭ এ পদার্পণ শুভ ও সুখকর হোক। নতুন বছরে নতুন আঙ্গিকে গড়ে উঠুক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। পূর্বের ন্যায় আগামীতেও দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সব সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অবদান পরিপূর্ণভাবে থাকুক। দেশ ও জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি এই স্লোগানে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
লেখক, কলাম লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :