কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। অনেক স্থাপনায় ভাঙচুরের পাশাপাশি দেয়া হয়েছে আগুন। একইসঙ্গে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট হয়েছে।
১৭ জুলাই থেকে ১৯ পর্যন্ত ঢাকায় বিভিন্ন ভবনে আগুন দেয়া হয়। এতে আগুনে পুড়েছে বিপুল সংখ্যক গাড়িসহ ভবনের জিনিসপত্র। ঢাকা মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ এর স্টেশন দুটোতে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা কোনো সভ্য মানুষের কাজ তা ভাবতেই গা শিহরিয়া ওঠে। ছাত্রদের আন্দোলন যেভাবে তৃতীয় পক্ষ দখল করে নিয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর ফলে সরকারের যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো সুনির্দিষ্ট হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে তার পরিমাণ অঢেল। এটা কি কেউ আশা করেছিল? নিশ্চয়ই নয়।
রাষ্ট্র যারা চালায়, যারা সরকার গঠন করেছেন তাদের যে জনসম্পৃক্ততা নেই, সাধারণ জনগণের, শিক্ষার্থীর, শ্রমিকের কান্না যে তাদের কাছে পৌঁছায় না, কিংবা পৌঁছালেও এসবের কোনো গুরুত্ব যে তাদের কাছে নেই, তা তারা বারবার প্রমাণ করেছেন। যে বিষয়টি শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত তাকে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়ে এসেছে সরকার। তাদের দূরদর্শিতার অভাব ছিল। এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হলো, এতদিন ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে কেন সরকারের এই দূরদর্শিতা তৈরি হলো না?
যতটা সরলীকরণ করে আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দেখি, সেটা সঠিক না। এদেশের ছাত্রসমাজ সত্য আর মিথ্যা, অধিকার আর অধিকারহীনতা, ন্যায্য আর অন্যায্যতা, সমতা আর বৈষম্যের পার্থক্য ততটাই ভালো করে বোঝেন-জানেন, ততটা আমাদের রাজনীতিবিদরাও বোঝেন না। এ প্রজন্ম জানে—রাষ্ট্র যারা চালান, ক্ষমতায় যারা থাকেন, তারা প্রত্যেকেই শুধু ‘জি হুজুর’ শুনতে চান। কোনো ধরনের প্রশ্নকে তারা পছন্দ করেন না, ভয় পান। তরুণ প্রজন্ম জানে, প্রশ্নহীন জীবন মৃত্যুর সমান। তাই তারা প্রশ্ন করছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন আসলে হঠাৎ ফোটা কোনো ফুল নয়, বরং দীর্ঘদিনের পুষে রাখা ক্ষোভ, হতাশা, জেদ, অক্ষমতার তুমুল বহিঃপ্রকাশ। এতদিন ধরে চলা আন্দোলন ২১ জুলাই ২০২৪-এ সরকার মেনে নেয়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সামগ্রিকভাবে বাতিল (রদ ও রহিত) করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় প্রদান করা হয়। রায়ে বলা হয়, কোটাপ্রথা হিসেবে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ; মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। তা না হলে, এত বছরে বারবার আমাদের এত গণতন্ত্রহীনতার মুখোমুখি হতে হবে কেন? এত সহিংসতা দেখতে হবে কেন? এসব তো আমরা শেষ করে এসেছিলাম গত শতাব্দীতে। ন্যায্যতার লড়াইয়ের যে আগুন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে বেড়াচ্ছে এদেশের জনগণ সে আগুন চাইলেও নেভাতে পারবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা দলবেঁধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিটিভির মতো সরকারি স্থাপনায় একের পর এক হামলা করেছে। বিসিএসআইআর, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন, যাত্রাবাড়ীতে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালী টোলপ্লাজা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা, মিরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়াম। এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে দেয়া হয় আগুন।
নারায়ণগঞ্জে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সিটি করপোরেশনের নগর ভবন, নরসিংদীতে জেলা কারাগার এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন কার্যালয়ে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। আগুনে বিআরটিএর ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সংস্থাটির সেবা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন চালু করতে কতদিন লাগবে তা নিয়ে শঙ্কায় কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য অফিসেও স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মাদারীপুরে সার্বিক পরিবহনের ৩২ গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। একটি আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে দেশব্যাপী তার দায় কী কেবল সরকারের? এ আন্দোলন তো রাজনৈতিক কোনো আন্দোলন ছিল না। এ আন্দোলন তো সরকার পতনের কোনো আন্দোলন ছিল না। দেশে রাজনীতির নামে জ্বালাও-পোড়াও, সরকারি সম্পদ নষ্ট করা কোন ধরনের মানসিকতা?
সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় সহিংস হামলায় ক্ষতির কথা তুলে ধরে ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিটিভিতে আগুন দেয়া হয়েছে, সেতু ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে, মহাখালী ডেটাবেজ স্টোরেজে হামলা-আগুন, মেট্রোরেলের স্টেশনে হামলা, শনির আখড়ায় হানিফ ফ্লাইওভাবের টোল বক্সে হামলা, পিবিআই অফিসে আগুন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আগুন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আগুন। নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে কয়েদিদের বের করে নিয়ে যাওয়া, কয়েকজনকে ধরা হয়েছে।
আক্রমণগুলো পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে মন্তব্য করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ডেটা সেন্টার জালিয়ে দেয়া হচ্ছে যেন ইন্টারনেট বন্ধ থাকে, দেশ অচল হয়ে যায়। কেপিআই ভবনে কারা আক্রমণ করে? ডেটা সেন্টার পুড়িয়ে দিয়েছে, বিটিভি জ্বালায়ে দিয়েছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বিটিসিএল ল্যান্ডলাইন জালিয়ে দিয়েছে, সেতু ভবন, দুযোগ ব্যস্থাপনা অধিদপ্তর, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জ্বালিয়ে দিয়েছে। উন্নয়ন যেখানে হয়েছে সে জায়গায়গুলোয় আক্রমণ হয়েছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চলার সময় বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দফা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়। শুক্রবার হামলা করা হয় বিআরটিএর মিরপুর কার্যালয়ে। এ সময় বিআরটিএ ভবনের বিভিন্ন তলায় ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। লুট করা হয় মূল্যবান জিনিসপত্র। ভাঙচুর, আগুনে বিআরটিএর ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বিআরটিএর সব ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বিআরটিএ চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, বৃহস্পতি ও শুক্রবারের হামলায় বিআরটিএর কম্পিউটার, মনিটর, আসবাবপত্রসহ মূল্যবান মালামাল লুট করা হয়। আগুনে ভবনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ভবনের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে। বিআরটিএ ভবনের ডেটা সেন্টার এবং মিরপুরে ভিআইসি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্রাহকসেবা চালু করা যাচ্ছে না।
১৮ জুলাই বিকালে ঢাকার মহাখালীতে সেতু ভবনের সামনে থাকা যানবাহন, ভবনের নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এসময় সেতু বিভাগের ৫৫টি গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সেতু ভবনের নিচতলায় থাকা বঙ্গবন্ধু কর্নার, অভ্যর্থনাকেন্দ্রে, মিলনায়তন, ডে-কেয়ার সেন্টার একেবারে পুড়ে গেছে। উপরের ফ্লোরগুলো পুড়েছে কম, তবে সেখানেও ক্ষতি হয়েছে। লুট করা হয়েছে ভবনের মূল্যবান জিনিসপত্র। ওই ঘটনায় সেতু ভবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণসহ সার্বিক বিষয় তদন্তে অতিরিক্ত সচিব রাশিদুল হাসানকে প্রধান করে ৭ সদস্যের কমিটি করেছে সেতু বিভাগ।
১৮ জুলাই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও শনিবার মহাখালীর টোলপ্লাজায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ দুটি টোলপ্লাজা আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক এএইচএস আকতার। তিনি বলেন, দুটি টোলপ্লাজার কম্পিউটার সিস্টেমসহ পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে কী কী জিনিস নষ্ট হয়েছে তা দেখছে আমাদের কর্মীরা। একটা অ্যাসেসমেন্ট করে দেখবে কী কী ক্ষতি হয়েছে। এরপর এগুলো সব রিপেয়ার করতে হবে। সে কারণে এখনও টাইমলাইন ঠিক করতে পারে নাই। ফলে ঠিক কবে এই দুটি টোলপ্লাজা চালু হবে বলা যাচ্ছে না।
আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার পর মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা হয়। এতে টিকেট বিক্রির মেশিন, কম্পিউটার, প্রিন্টার, সময়সূচীর মনিটর, ভেঙে ফেলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাকসেস কন্ট্রোল গেট। ওই ঘটনায় শনিবার আট সদস্যের কমিটি করে দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুটি স্টেশন পুনরায় সচল করতে আরও অন্তত এক বছর সময় লাগবে। যেসব যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশে নেই। এগুলো জাপান ও ইউরোপ থেকে আনতে হবে। এজন্য দরপত্র আহ্বান করত হবে। কেনার প্রক্রিয়া শেষ হলে এগুলো স্টেশনে সংযোজন করতে হবে।
গত কয়েকদিনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েকদিনের সহিংসতায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিয়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে গুলশানে ট্রাফিক উপকমিশনারের অফিস। এছাড়া এসি রমনা, রামপুরা, মহাখালী ও উত্তরা অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো ঢাকা শহরে মোট ৫৪টি ট্রাফিক পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-বিসিএসআইআরে হামলা করে আন্দোলনকারীরা। এসময় অন্তত দুইশজন লোক প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। বিসিএসআইআর প্রাঙ্গণে থাকা আটটি গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে শুক্রবার ও শনিবার মাধবদী পৌরসভা, নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আগুন দেয়া হয়। এতে চারতলা ভবনটি একেবারে পুড়ে যায়। গ্রাহকদের দেওয়ার জন্য তৈরি করা আট হাজার পাসপোর্ট পুড়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, আন্দোলনকারীরা সরকারি স্থাপনাকে টার্গেট করে আক্রমণ করেছে। নিরাপত্তাপ্রহরীদের বের করে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ৮ হাজার পাসপোর্ট তৈরি করা ছিল, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা দুই হাজার জনকে আসামী করে মামলা করেছি।
বৃহস্পতিবার রাতে পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়, শহরের দুই নম্বর রেলগেট পুলিশ বক্স, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে ভবনের ফ্রন্টডেস্ক, ভবনের সামনে রাখা কয়েকটি গাড়ি পুড়ে যায়। আলী আহমদ চুনকা নগর পাঠাগার ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার শিমরাইল এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের একটি কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়।
সারা দেশব্যাপী এই যে পরিকল্পিত হামলা তার দায় কার? এ প্রশ্ন এখন সচেতনমহলের। দেশে অর্থনৈতিক এই যে ক্ষতি তা কতদিনে কাটিয়ে ওঠা যাবে? অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সেই চাপ আবার জনগণকেই বহন করতে হবে।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :