AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় নতুন ভাইরাস ডিঙ্গা, ডিঙ্গার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে প্রয়োজন সতর্কতা


Ekushey Sangbad
ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
০৬:৪০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪
আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় নতুন ভাইরাস ডিঙ্গা, ডিঙ্গার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশে প্রয়োজন সতর্কতা

করোনার পর কোনো ভাইরাসের নাম শুনলেই ভয়ে চুপসে যান অনেকে। করোনার সেই ভয়াবহতা আর নেই। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কার কথা প্রায়ই বলছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই শঙ্কার মধ্যেই নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলো।  অদ্ভুত নামের ভাইরাসটি বর্তমান সময়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। নতুন এই ভাইরাসের নাম ডিঙ্গা ডিঙ্গা। 

নতুন এ ভাইরাসে আক্রাক্ত হচ্ছেন আফ্রিকার দেশ উগান্ডার বুন্ডিবুগিও জেলার মানুষরা। নারী ও কিশোরীরাই মূলত এ ভাইরাসে আক্রাক্ত হচ্ছেন। প্রায় ৩০০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের জ্বর এবং অত্যধিক শরীর কাঁপুনি হচ্ছে। এ কারণেই ভাইরাসটির নাম ডিঙ্গা ডিঙ্গা।

আর ডিঙ্গা ডিঙ্গা শব্দটির অর্থ নাচের মতো কাঁপা। স্থানীয় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এর কারণ ও প্রতিকারের উপায় বের করার চেষ্টা করছেন। কীভাবে এবং কেন এ রোগ ছড়াচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি।

> ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্তের লক্ষণ :

ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে অত্যধিক কাঁপুনি হতে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত কাঁপুনি এ ভাইরাসে আক্রান্তের অন্যতম লক্ষণ। একইসঙ্গে জ্বর, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ব্যথার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। মাথা ব্যথাও করে।ডিঙ্গা ডিঙ্গায় আক্রান্তের শ্বাসকষ্ট হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি অবস্থা ভয়াবহ হলে দেহ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।

>ডিঙ্গা ডিঙ্গার ইতিহাস :-

২০২৩ সালে প্রথমবার ডিঙ্গা ডিঙ্গা রোগের কথা জানা যায়। আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ইনফ্লুয়েঞ্জা, করোনাভাইরাস, ম্যালেরিয়া, হাম হলে যেরকম শ্বাসকষ্ট হয়, ডিঙ্গা ডিঙ্গা রোগেও সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আর ফ্রান্সে ১৫১৮ সালে প্রায় একইরকম সংক্রমণ দেখা যায়। এই ডিঙ্গা ডিঙ্গার মতোই লক্ষণ ছিল ওই রোগের। তাই স্ট্রাসবার্গের ‍‍`ড্যান্সিং প্লেগের‍‍` সঙ্গে ডিঙ্গা ডিঙ্গার উপসর্গের তুলনা করা হচ্ছে। ওই রোগে আক্রান্তদের দেহ নাচের মত অনবরত কাঁপতে থাকত। দিনের পর দিন এভাবে নড়াচড়ার পর ক্লান্ত হয়ে অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন।এদিকে, কঙ্গোতে আরেকটি অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৩৯৪ জন আক্রান্ত ও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের জ্বর, মাথাব্যথা, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া ও শরীর ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।এই দুই প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে উগান্ডার স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

> হোমিও প্রতিকারঃ-রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয় এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা.হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে ডিঙ্গা ডিঙ্গা

 সহ নানাবিধ রোগ  সহ  যে কোন  জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে   আল্লাহর রহমতে সহজে  চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।  চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিরন্তন সত্য বলে কিছুই নেই ।কেননা একসময় আমরা শুনতাম যক্ষা হলে রক্ষা নেই , বর্তমানে শুনতে পাই যক্ষা ভাল হয়। এ সবকিছু বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ফসল । নানাবিধ রোগ সমূহ  হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। সামগ্রিক উপসর্গের ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। এটিই একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে রোগীর কষ্টের সমস্ত চিহ্ন এবং উপসর্গগুলি দূর করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের অবস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়। 

> হোমিও মেডিসিনঃ-লক্ষণ সাদৃশ্যে প্রাথমিক ভাবে যেইসব মেডিসিন ডিঙ্গা ডিঙ্গার জন্য আসতে পারে রাসটক্স,সারসেনিয়া পুরপুরিয়া,বাইয়োনিয়া,ভ্যাকসিনাম,ম্যাল্যান্ডরিনাম,পালসেটিলা,এন্টিমক্রুড,সালফার,থুজা,ভেরিওলিনাম,মারকুরিয়াস সল,সাইলিসিয়া সহ আরো অনেক ঔষধ লক্ষণের উপর আসতে পারে তাই নিজে নিজে ব্যবহার না করে সঠিক চিকিৎসা পাইতে হইলে অভিজ্ঞ চিকিৎকের পরামর্শ নিন।

পরিশেষে,ডিঙ্গা ডিঙ্গা কোনো চিকিৎসা নেই। তবে যেকোনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মতই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে এর প্রকোপ রোধ করা যায়।আর ডিঙ্গা ডিঙ্গা রোগের এলোপ্যাথি চিকিৎসা এখনো কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।আর হোমিওপ্যাথি  সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করলে সাধারণত রোগীরা এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন । আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যদি এই রোগের লক্ষণ বাংলাদেশে দেখতে পান তাহলে দ্রুত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসা নিলে দ্রুত সময়ে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

 

লেখক, কলাম লেখক ও গবেষক  

Link copied!