AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আখেরি মোনাজাতে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরার পরিবেশ যেমন ছিল


Ekushey Sangbad
বেলায়েত হোসেন, ঢাকা
০১:২১ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
আখেরি মোনাজাতে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরার পরিবেশ যেমন ছিল

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নিজামের উদ্যোগে আয়োজিত এবারের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম আসর। মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ সবকিছু বন্ধ রাখা হয়। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশের শীর্ষ মুরুব্বি, কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জোবায়ের আহমেদ। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছিল।

রোববার সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে মোনাজাত শেষ হয় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে। ইজতেমা ময়দানের ভেতরে বিদেশি মুসল্লিদের খিত্তার পাশের বিশেষ মোনাজাত মঞ্চ থেকে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি এতে শরিক হন। টঙ্গী এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করা লাখ লাখ মুসল্লি ছাড়াও মোনজাতে অংশ নিয়েছেন ঢাকা ও গাজীপুরের চারপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অসংখ্য মুসল্লি। এক দিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, মোনাজাত হবে রোববার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে। ফলে মোনাজাত উপলক্ষে শনিবার রাতের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পুরো ইজতেমা ময়দান।

ইজতেমা ময়দানে জায়গা না পেয়ে রাতভর ও সকালে অনেক মুসল্লি মহাসড়ক ও আশেপাশের গলিতে অবস্থান করেন। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া এবং আশেপাশের মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ মুসল্লি বাস, ট্রাক, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেন, লঞ্চে করে রোববার সকালে টঙ্গীতে আসেন আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে।

ইজতেমা ময়দানে নারীদের জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ময়দানের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে অনেক নারীকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা গেছে। কয়েক হাজার নারী ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে, বিভিন্ন কলকারখানা, বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন দালানের ছাঁদে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ইজতেমা ময়দানে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসার এক নারী বলেন, ‘বিগত সময়য়ে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে নারীদের জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করা হতো কিন্তু এবার এমনটা আছে বলে শুনিনি। তবে ইসলামে নারীর অবদান খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। আমাদের মত নারী মুসল্লিদের প্রাণের দাবি আগামীতে এমনটা যাতে আর না হয়। প্রত্যাশা করব ইজতেমার কর্তৃপক্ষ আগামীতে নারীদের জন্য একটি সুরক্ষিত জায়গার ব্যবস্থা করবেন। যাতে নারীরা নিরাপদে ইজতেমায় আসতে পারে এবং সসম্মানে ফিরে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, "ইজতেমার মুসল্লিদের সেবায় জেলা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করেছে। ইজতেমার মুরুব্বি, অংশগ্রহণকারী মুসল্লি–সকলের সহযোগীতায় প্রথম পর্ব অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।"

গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান বলেন, ‘ইজতেমায় আগত দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তা, তাদের যাতায়াতের জন্য মহানগর পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, "ফিরতি পথে একসাথে লাখ লাখ মানুষ সড়কে নেমে আসায় প্রথমে একটু অসুবিধা হলেও পরে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি। মুসল্লিরা যাতে দ্রুত এবং নিরাপদে ইজতেমা ময়দান ত্যাগ করতে পারেন– সেজন্য বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে। ইজতেমা অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।"

ইজতেমার ময়দান ও এর আশেপাশে এত মানুষ জড়ো হওয়ায় বাড়ি ফিরতে রাস্তাঘাটে ভোগান্তি  শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। যা আরো কিছু সময় থাকতে পারে এমনটাই জানিয়েছে ইজতেমায় আসা মুসুল্লিরা।

 

বেলায়েত হোসেন

সিনিয়র সাংবাদিক, কলাম লেখক
 

Link copied!