তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। এরা জনগণের, দেশের শত্রু। এদের সর্বপর্যায়ে প্রতিহত করতে হবে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা হাওয়া ভবন বানিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলতো, বিদ্যুৎ না দিয়ে খাম্বা লাগাত, একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছে, এসএম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমামকে হত্যা করেছে, সারাদেশে বাংলা ভাই সৃষ্টি করে গাছের সঙ্গে টাঙিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, ৫০০ জায়গায় বোমা ফাটিয়েছে, তাদের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি না।
তিনি বলেন, তারেক রহমান মানে হচ্ছে দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতির বরপুত্র সে। হাওয়া ভবনের সবচেয়ে বড় চোর ও সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ তুলে দেয়া যাবে না।
ড. হাছান বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন; উনারা যদি আওয়ামী লীগকে বিদায় দিতে পারেন, তাহলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবেন। আর বিএনপি নেতা আসাদুল হক দুলু নাকি বলেছেন, যদি তারা ক্ষমতায় যায়; তাহলে সব মানুষের পিঠের চামড়া তুলে ফেলবে। যারা এটা করতে চায় তাদের হাতে দেশ তুলে দিতে পারি না। তাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন।
তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া থেকে পাখিরা এসে আমাদের এখান থেকে ধান খেয়ে মোটাতাজা হয়ে আবার চলে যায়, বিএনপিও হচ্ছে তেমন। ৫ বছর খবর নেই। নির্বাচন যখন আসে, তখন শীতের পাখির মতো আসবে। তাদের আর সুযোগ দেয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, কৃষক লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত পছন্দের সহযোগী সংগঠন। করোনা মহামারির সময় যেভাবে এর নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেটি সত্যিই অনন্য। কৃষকরা যখন ধান কাটার মানুষ পাচ্ছিলেন না। তখন কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা তা কেটে মাথায় করে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ বছর আগে দেশের অবস্থা কী ছিল? সেটি কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে দেশের এই পরিবর্তন হয়েছে। যে কারণে মানুষ আজকে তার পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
এজন্য এ পরিবর্তন সহ্য হয় না বলে বিএনপি এখন সারাদেশে সমাবেশ করে সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গতকাল কাঁচপুর ব্রিজের নামফলক জ্বালিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ফখরুল-রিজভী-গয়েশ্বর বাবুরা যাই বলুক না কেন, কয়েক দিন আগে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলে গেছেন, বাংলাদেশ যে অগ্রগতি করেছে এটা পৃথিবীর জন্য উদাহরণ, বিস্ময়কর অগ্রগতি।
উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা আকবর আলী চৌধুরী, রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/বাসস/পলাশ
আপনার মতামত লিখুন :