তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আ.লীগের সরকার নানা ধরণের ভাতা চালু করেছে। এ ধরনের ভাতা আগে বাংলাদেশে কখনো চালু ছিলনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তিনি প্রথম বয়স্কভাতা বিধবাভাতা চালু করেন তার আগে কখনো এই ধরনের ভাতা চালু ছিল না। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তারা এই ভাতা আর বাড়ায়নি আবার কোন ক্ষেত্রে বন্ধ করে দিয়েছে। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল তখনই ভাতা বাড়ায় নাই। তখন ভাতা যারা পেত চেয়ারম্যানের খাতিরে পেত, চেয়ারম্যানদের রাখাল ছেলেরা পেত ও তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা পেত । আর অন্য কেউ পেত না এই ভাতা।
সোমবার (৬ মার্চ) বিকালে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সরকারের সকল ধরনের সুবিধাপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার ২০০৯ সালে যখন গঠিত হয় তখন আমরা কে আ.লীগ, কে বিএনপি, কে জাতীয় পার্টি দেখিনায়। যার দরকার ছিল তাকেই এসব ভাতা দেওয়া হয়েছে। একটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ নানা ধরনের ভাতা পায়। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা এই ধরনের ২২ রকমের ভাতা। তারপরে ১ কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে কম দামে টিসিবির মাল কিনতে পারছে। আবার ৫০ লক্ষ পরিবারকে ডিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এই ধরনের ভাতা চালু করেছে আ.লীগ সরকার, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ রকমের ওষুধ ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে এই ধরনের হবে কেউ কি চিন্তা করেছে যে ডাক্তার খানায় গেলে ফ্রি ওষুধ দিবে? প্রতি বছরের শুরুতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ফ্রিতে বই দেওয়া হচ্ছে। এই করোনাকালীন সময়ে মানুষের মোবাইল ফোনে টাকা এসে গেছে। এইসব আমাদের সরকার আ.লীগের সরকার জননেতা শেখা হাসিনার সরকারই চালু করেছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার যদি না থাকে তাহলে আপনারা যে ভাতাগুলো পাচ্ছেন সেগুলো আবার বন্ধ হয়ে যাবে। যে কমিউনিটি ক্লিনিক আমরা চালু করেছিলাম তা খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন যদি আবার খালেদা জিয়ার সরকার, ধানের শীষের সরকার বা অন্য কোন সরকার ক্ষমায় আসে সব ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের ভাতা চালু রাখতে হলে শেখ হাসিনার সরকার নৌকা মার্কার সরকারকে আবার দরকার। যদি আ.লীগের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আপনারা আবার প্রধানমন্ত্রী বানান তাহলে ভাতার পরিমাণ ও সংখ্যা আরো বাড়বে এবং মানুষ আরো উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, আমি এমপি হবার পর কোন দলমত ভাগ না করে সবার উপকার করেছি সামনে নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। আমি যেমন গত ১৪টি বছর আপনাদের জন্য দরজা খোলা রেখেছি আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজা খোলা রাখবেন। এখন দল আ.লীগ ক্ষমতায় তাই দলের নৌকায় সবাই উঠতে চাই। সবাই আ.লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চলতে চাই। এখন অনেকেই আ.লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষকে কষ্ট দিতে চাই। কেউ যদি নাম ভাঙ্গিয়ে চলতে চাই তাহকে তাদেরকে আমরা শায়েস্তা করব। দল ও আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কাউকে কষ্ট দেওয়ার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। সেটা কেউ করতে পারবেনা। আপনাদের কাছে যদি কেউ দল ও আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অন্যায় কিছু করতে চায় তাহলে আমাদেরকে বা আমাদের নেতৃবৃন্দদেরকে বলবেন। আমরা যথাযথভাবে তাদেরকে শায়েস্তা করব।
অনুষ্ঠান সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী`র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ.লীগ নেতা আকতার হোসেন খান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শরফী, উপজেলা. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রউফ মাটার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শামসুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আহছান হাবিব, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম সুজন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জমির উদ্দিন, ১নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা মাওলানা আবুল বয়ান, কৃষকলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মাহাবুল আলম, আ.লীগ নেতা সেলিম উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুহাম্মদ মহিনউদ্দিন মহির, ইউপি মহিলা সদস্য শিরিন আক্তার, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মারশাল টিটু, উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ ওয়াহিদুল রাইহান, সহ-সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য এডভোকেট রাহেলা আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
একুশে সংবাদ.কম/ত.র.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :