সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মো. ইসমাইল হোসেন, মো. আসিফ ও জুয়েল খান নামের যুবদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি) কামরুজ্জামান দুলালের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে— সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে জাতীয়তাবাদী যুবদল পল্লবী থানার ৬নং ওয়ার্ড শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, রূপনগর থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মো. আসিফ এবং পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি জুয়েল খানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে পল্লবী ও রূপনগর থানা বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে দলটির কর্মীদের বিশৃঙ্খলা ও মারমুখী আচরণের ঘটনা ঘটে। ইফতার অনুষ্ঠানে ব্যাপক নেতাকর্মীর সমাগমে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। সাংবাদিকরা একপাশে দাঁড়িয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টার মধ্যে বিএনপির কয়েকজন কর্মী বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। এতে তাদের হামলায় এনটিভির ইমরুল আহসান জনিসহ কয়েকজন সাংবাদিক ও ক্যামেরাপারসন আহত হন।
ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইদের সঙ্গে কয়েকজন ব্যক্তির একটা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সে জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। রূপনগর, পল্লবী থানার নেতাকর্মীদের প্রশ্ন করতে চাই— আপনারা কি সত্যিকারই দলকে ভালোবাসেন? মনে হয় না। তা হলে এ ঘটনা ঘটত না। অতিথিদের সম্মান করতে জানেন না। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। শৃঙ্খলা ছাড়া কোনো যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না, কোনো বিজয় লাভ করা যায় না।’
এর পরও কিছু কর্মী আবার হইচই শুরু করলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এরা কারা? এখানে আওয়ামী লীগের দালালরা ঢুকেছে।’
পরে রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হক এনটিভির ইমরুল আহসান জনির বাসায় গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তার খোঁজখবর নেন।
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :