বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় সংসদে ৫২তম প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আওয়ামী অর্থনীতি বাস্তবায়নে লুটপাটের স্মার্ট বাজেট দিয়েছে সরকার। দেশের সরকার লুটপাটের জন্য ঋণ করে ঘি খাওয়ার বড় বাজেট দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এর বোঝা জনগণকে বইতে হবে। সরকার লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। অথচ দেশে রিজার্ভের টাকা নেই। সাধারণ মানুষ অনেকে আজ ঋণ করে চলছেন। তাদের সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে। অনেকে দুই বেলার জায়গায় একবেলা খেয়ে থাকছেন। আর সরকার বাজেটে বড় বড় অঙ্ক দিচ্ছে আর মানুষকে বড় বড় অবকাঠামোর কথা বলছে। বড় বড় অবকাঠামোর মধ্যে বড় বড় চুরি-ডাকাতি ছাড়া তো আমরা কিছু দেখছি না।’
আওয়ামী লীগ সামষ্টিক অর্থনীতি ভেঙে দিয়েছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, ‘একটি দলীয় চিন্তার ভিত্তিতে পৃষ্ঠপোষকতার লুটপাটের অর্থনৈতিক মডেল সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গত ৩০ বছরের যে কষ্টের মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনীতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছিল, তারা সেটা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। যেজন্য তারা আজকে আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দ্বারে যাচ্ছে। এখান থেকে বের হতে হলে এই অবৈধ দখলদার সরকার বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে ও ভেতর থেকে তারা যে ঋণ নিচ্ছে, এটা শোধ করতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ঋণ নিয়ে তারা ঘি খাচ্ছে। আওয়ামী অর্থনীতি বাস্তবায়নে স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট দিয়েছে সরকার। ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে গত ৭ বছরে, যার দায় বইতে হবে আগামী প্রজন্মকে। আওয়ামী লীগের অর্থনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা লাভবান হবেন, জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ বাড়বে।’
গতকাল রাজধানীর বনানীর নিজ বাড়িতে তাৎক্ষণিক এই বাজেট প্রতিক্রিয়া দেন আমির খসরু মাহমুদ। এ সময় তার বাসার ভেতরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান করছেন জানিয়ে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আমির খসরু।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের একটা সরকার দেশের জন্য কী ধরনের বাজেট দেবে, তা বোঝাই যাচ্ছে। বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া শুনতেও রাজি নয় তারা।’
একুশে সংবাদ/য/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :