নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, `হ্যাঁ` `না` ভোটের প্রবক্তারা আমাদেরকে নির্বাচনের কথা বলতে আসে। ঠাকুরগাঁওয়ের কুখ্যাত রাজাকারের ছেলে মির্জা ফখরুল আমাদেরকে নির্বাচনের ছবক দেয়।
বুধবার (২৬ জুলাই) দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আগামী ০২ আগস্ট ২০২৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে জনসভায় বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি ।
চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী শোভন, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান চৌধুরী মিতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, উপজেলা চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারেক।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ও জেনারেল মাহবুব দিনাজপুরের নির্বাচনে ভোট কেড়ে নিয়েছিল। তারা আমাদেরকে ভোটের ছবক দেয়। আমরা ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই করেছি। আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। মির্জা ফখরুলরা আমাদেরকে লড়াইয়ের ভয় দেখায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভয় পায় না। সন্ত্রাস কি জিনিস আওয়ামী লীগ জানেনা। সন্ত্রাসের পথ আওয়ামী লীগ ধরেনা।
আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, "রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব।" আওয়ামীলীগ রক্ত দিতে জানে।
আওয়ামী লীগ কখনো রক্ত নেয়ার রাজনীতি করেনা। রক্ত নেয়ার রাজনীতি করে বেগম খালেদা জিয়া। রক্ত নেয়ার রাজনীতি করে জিয়াউর রহমান। ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে খুনি জিয়া। হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছে খালেদা জিয়া। জঙ্গিবাদ কায়েম করেছে খালেদা জিয়া। ২৬ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে খালেদা জিয়া। নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছে খালেদা জিয়া। সেই রক্তাক্ত হাত এর মির্জা ফখরুল, বিএনপি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে যতই ভয় দেখায় না কেন; এ রক্ত ভয় পাওয়ার রক্ত নয়, এ রক্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের রক্ত।
একজন খালিদকে হত্যা করলেও হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি খালিদ মাহমুদ তৈরি হবে। সেই উদ্দীপনা ও সাহস নিয়ে দুই আগস্ট রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশকে সফল করতে হবে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :