আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭৫ এর হত্যাকান্ড ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করাই ছিল মূল টার্গেট।
তিনি আরও বলেন, হুজির কাছে তারেক রহমানের পরিষ্কার নির্দেশ ছিলো শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বনানী কবরস্থানে আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনে জনগণ নেই। তাদের আন্দোলনে সুনামি তৈরি হবেনা। তাদের আন্দোলনে শুধু নেতা কর্মীরা আছে। তাই এটা নেতা কর্মীর আন্দোলন।
আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের জন্য দুটি বিষয় লাগে একটা হলো অবজেকটিভ কনডিশান, দুই সাবজেকটিভ প্রিপারেশন। তাদের অবজেকটিভ কনডিশানও নেই, সাবজেকটিভ প্রিপারেশনও নেই। ক্ষমতার মুলো ঝুলিয়ে নেতাকর্মীদের জড়ো করে পিকনিক পার্টি করেছে। জনগণ না থাকলে গণআন্দোলন কীভাবে হবে?
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের ইতিহাস কত নির্মম। পার্লামেন্টে তৎকালীন সময়ে বিরোধী দলীয় নেত্রী যখন প্রসঙ্গটি তুলছিল, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন, উনাকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে যাবে? উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে। একুশে আগস্ট ঘটনাকে নিয়ে এই উপহাস করেছিলেন তিনি। জজ মিয়ার নাটক আরো নির্মম। সেটা আরেক প্রহসন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। গণতন্ত্রের জন্য যারা আজকে মায়া কান্না করে তাদের রাজনীতি হচ্ছে ষড়যন্ত্র ও হত্যার। আজকে আমরা একটা কথা বলতে চাই ও দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, যারা গণতন্ত্রের নামে মায়া কান্না করছে তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সঅবস্থানের কোন সুযোগ আছে কি না?
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হবার পর ২৪ আগস্ট সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :