আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা বলে শেখ হাসিনা নাকি ব্যাগের মধ্যে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়ে ২১শে আগস্ট মানুষ হত্যা করছে। কোন পাগল আছে যে এটা বিশ্বাস করবে? শেখ হাসিনা কি পাগল নাকি যে তিনি ওখানে আত্মহত্যা করতে গিয়েছেন ওখানে? প্রতিনিয়ত এমন মিথ্যাচার করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এইজন্য আমি বলি, ভন্ডামি আর দুর্নীতি বিএনপির দুই নীতি। আর, মিথ্যাচার আর মানুষ খুন খালেদা জিয়ার দুই গুণ।
বুধবার (২৩শে আগস্ট) বেলা তিনটায় ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের উদ্যোগে কলেজের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ভন্ডামি করা, মিথ্যাচার করা হচ্ছে বিএনপি`র মূল কাজ। তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে রাখতে চায়। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে চায়না। আমি সকল কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শুধু মুখে নয় বুকেও ধারণা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সাগর।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন এবং সংগ্রাম নিয়ে আমরা এই শোকের মাসে মাস ব্যাপী কর্মসূচি পালন করি। আমরা এই কর্ম গুলো বারবার আপনাদের সামনে কেন নিয়ে আসি যাতে করে আমাদের এই বাঙালি জাতির যে রক্তক্ষরণের ইতিহাস রয়েছে, আমাদের বুকে যে চাপা বেদনা রয়েছে, আমাদের যে কথা গুলো অনেক সময় না বলাই থেকে যায়, আমরা যেন জাতির পিতার আদর্শের সংগ্রামে জীবিত থাকতে পারি এবং আগামী দিনে এই দেশে যারা ১৫ই আগস্ট, ১৭ই আগস্ট ২১শে আগস্ট যারা বারবার নিয়ে এসেছে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে যেন আমাদের ছাত্রসমাজে আমরা যেন সঠিক দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি সেই বৃহত্তর লক্ষ্যগুলো সামনে রেখে আমরা এই কর্মসূচি পালন করি। আমরা শোককে শক্তিতে রূপান্তর করার জন্য প্রতিবছর এই কর্মসূচি গুলো করি।
শোক দিবসের আলোচনা সভায় কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নিশংস হত্যাকাণ্ডের হত্যার পর এক চমৎকার আইন করলো যে এর কোন বিচার হবে না বাংলার মাটিতে। একটি সময় ছিল তোমরা এখন যারা তরুণ আছো তারা হয়তো জানোই না , এই হত্যাকাণ্ড বা এইসব নিয়ে আলোচনা করা বা তোমাদের জানানো যায় সেই উপায়টি ছিল না। ইতিহাস বিকৃত করে দেওয়া হয়েছিল। তোমাদের সামনে আমরা উচ্চারণ করতে পারতাম না। একসময় মনে করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে যখন মেরে ফেলা হয়েছে তার আদর্শকে ধ্বংস করা হয়েছে। খুনিদের সেই চক্রান্ত ছি সম্পূর্ণ ভুল। তখন ফিনিক্স পাখির মতো সেই ছাই থেকে উঠে আসলেন বঙ্গবন্ধুর জৈষ্ঠ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি দলকে সুসংগঠিত করলেন, দেশের হাল ধরলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১২জন খুনির মধ্যে যে সাত জন খুনির এখনো বিচার হয়নি অবিলম্বে সেই সাত জন খুনির বিচার বাংলাদেশে কার্যকর হোক। একইসাথে অবিলম্বে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারও এই বাংলার মাটিতে হোক।
এ সময় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :