বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ও উন্নয়নের ধারাতে অব্যাহত রাখতে আবারও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বপ্ন পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা। তারাযাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও প্রযুক্তি মোকাবিলা দক্ষতার সাথে করতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধুর এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে ১৫ই আগস্টের শহীদদের স্মরণে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সমগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
পরশ বলেন, শেখ হাসিনার চিন্তা এদেশের মানুষের সেবা করার জন্য। কোন উন্নত দেশেও এই ধরণের জনহিতৈষীমূলক কার্যকলাপ থাকে না, তাদের শুধু চাকুরীজীবীদের জন্যই পেনশন পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল নাগরিকদের সম্পৃক্ত করেছেন। ৩৫ লক্ষ গৃহহীন মানুষকে আশ্রয়ণ কর্মসূচির মাধ্যমে ঘর-বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও এ রকম জমি দিয়ে ঘর-বাড়ি বানিয়ে দেওয়া আর কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান করেছেন কি না সন্দেহ আছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বরের আওয়ামী লীগের জনসভা পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুবলীগের নেতা-কর্মীরাই কানায় কানায় পূর্ণ করে দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলে যানজট নিরসন হবে, মানুষ সাচ্ছন্দে চলা ফেরা করতে পারবে। সুতরাং মানুষের কর্ম যদি কথা বলে তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। তিনি ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সারা বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন সাধণ করেছেন তার ফলাফল এদেশের জনগণ দিবেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি-জামাতের আমলে লুটপাট, হত্যা, রাহাজানি ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার, এগুলো ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে তাদের অপারেশন ক্লিনহার্ট করতে হয়েছিল কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে চুরি, লুটপাট, রাহাজানি নাই যার কারণে অপারেশন ক্লিনহার্টের প্রয়োজন হয় না।
আরও বলেন, সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের জন্য ১/১১ এর কুশিলবরা সোচ্চার, তারা একদিকে সোচ্চার অন্য দিকে বিএনপি-জামাতের মিথ্যাচার। যারা সুদখোর, যারা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, যারা গরীবের টাকা আত্মসাৎ করে এবং তাদের বিচার করতে গেলে ঐ বিদেশী প্রভুরা চিঠি দেয়। দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ন্যাক্কারজনক হস্তক্ষেপ করা এটা কোন সভ্যতা?
যুবলীগ এনেতা বলেন, যারা সভ্যতার ছোবক দেয় তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কিভাবে ন্যাক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করে। আমাদের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন, বিচারালয়ের যে রায় সেই রায়ের বিরুদ্ধে তারা কিভাবে হস্তক্ষেপ করে? তাদেরকে কি সভ্যতার ABCD স্মরণ করিয়ে দিতে হবে? আইন তো সবার জন্যই সমান, সে নোবেল জয়ী হোক আর যেই হোক। নোবেল জয়ী হবে আর শ্রমজীবী মানুষকে ঠকাবেন, নোবেল জয়ী হবেন আর দেশের ট্যাক্স ফাঁকি দিবেন, এটাতো হতে পারে না। নোবেল জয়ীর জন্য কি অন্যরকম আইন বাংলাদেশে? সুতরাং আমি ঐ সকল সভ্য সমাজের প্রবর্তক এবং বিবেকবান মানুষদের বলবো শিষ্টাচার রক্ষা করেন। সব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবেন না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, কার্যনির্বাহী সদস্য রাজু আহমেদ ভিপি মিরান, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মানিক লাল ঘোষ, মোঃ মুজিবুর রহমান মুজিব, এবিএম আরিফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান জুয়েল, শেখ মারুফ হোসেন, কাইফ ইসলামসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :