AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ চেয়ে বেগম জিয়ার আবেদন


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:৩৬ পিএম, ৮ অক্টোবর, ২০২৩
সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ চেয়ে বেগম জিয়ার আবেদন

বিচারিক আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলায় নথি দেখে দেখে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়া বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

 

রোববার (৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

আইনজীবী বলেন, দেখে দেখে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হচ্ছে, যা ফৌজদারি আইনগতভাবে বৈধ নয়। নিয়ম হচ্ছে মেমোরি রিফ্রেশ করার জন্য সাক্ষ্য প্রদানকালে সাক্ষী দু-একবার চোখ বোলাতে পারেন। কিন্তু এভাবে লাগাতার দেখে দেখে বইয়ের মতো পড়ে পড়ে সাক্ষ্য প্রদান করা আইনসিদ্ধ মনে হয় না।

 

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা মনে করছি, এ মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি সেখানে গিয়ে নিজে বসে থাকছেন। এটা তার এখতিয়ার বহির্ভূত। আবেদনটি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

বিগত ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

 

নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে সরকারে থাকাকালে বেগম জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন।

 

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তৎকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন মুখ্যসচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

 

এর মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা গেছেন। তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অন্য আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন। নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন। বাকিরা জামিনে।

 

একুশে সংবাদ/ব.হ.প্র/জাহা

Link copied!