মজুরি ২৫ হাজারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। গত কয়েকদিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জন পোশাক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। রাজধানীর মিরপুরে সড়কে অবস্থান নিয়েছে পোশাক শ্রমিকরা। এতে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নিম্নতম মজুরি বোর্ড কার্যালয়ে ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করতে বসবে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ। তার তার আগে আবারও রাজধানীর মিরপুরে সড়কে অবস্থান নিয়েছে পোশাক শ্রমিকরা। এতে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাও এ পথে চলতে দেয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতেও বাধা দেয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পোশাক শ্রমিকরা মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় এ এলাকায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল ৯টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে ১৪ নম্বরের দিকে চলে যায় তারা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবারও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে পোশাক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ২২ অক্টোবর মজুরি বোর্ড কার্যালয়ে সর্বনিম্ন মজুরি প্রস্তাব জমা দেয় মালিক ও শ্রমিকপক্ষ। দ্রব্যমূল্য ও আর্থিক নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা দাবি করেছেন শ্রমিকরা। তবে মালিকপক্ষ ২৪০০ টাকা বাড়িয়ে সর্বনিম্ন বেতন ১০ হাজার ৪০০ টাকা দিতে চান।
মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেছিলেন, ‘সভায় শ্রমিকপক্ষ নিম্নতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। বিপরীতে মালিকরা ২ হাজার ৪০০ টাকা বাড়াতে চান। এ অবস্থায় দুপক্ষকেই ছাড় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’
অন্যদিকে ২২ অক্টোবরের বৈঠক শেষে মালিক প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেছিলেন, ১ নভেম্বরের বৈঠকে আলোচনা করে চেষ্টা করবো সর্বনিম্ন মজুরি কতটা বাড়ানো যায়। শ্রমিকদের বলবো তারাও কতটা ছাড় দিতে পারেন। সবমিলিয়ে জানুয়ারিতে নতুন বেতন কার্যকর হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :