আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে সকলের অংশ গ্রহণে জমে উঠেছে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২০২৩-২৫। তিন বছর পর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) মতিঝিল এ.জি.বি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫ টায় শেষ হয়। মোট ভোটার সংখ্যা ৬৯২ জন। এই নির্বাচনে দুই প্যানেলে ৩৩ জন করে মোট ৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মুদ্রণ বিপ্লবে বাংলাদেশ আশ্বাস নয়, চাই বাস্তবায়ন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বে, মুদ্রণ শিল্পে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন মোঃ কাউসার- উজ-জামান (রুবেল), মোঃ রব্বানী জব্বার, মাহামুদ আলম, মোঃ আছমত আলী, মুরাদ আহমেদ, হুমায়ুন কবির, মোঃ হাসানুজ্জামান (রবিন), মোঃ আব্দুল গাফফার খান (নিফাত), আহমেদ রুবাইয়াত ইফতেখার (বাবু), মোঃ রায়হান পারভেজ, মোঃ হাবিবুল হক, মোঃ শাহজাহান কবির (সাজু), মোঃ জুনায়েদুল্লাহ আল মাহফুজ, মোঃ উজ্জ্বল চৌধুরী, মোঃ রেজাউল কবির, মোঃ আনোয়ার হোসেন, দেওয়ান মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পারভেজ আহম্মেদ, দেওয়ান আতাউর রহমান, মোঃ মোক্তল হোসেন, মোঃ ওয়াছিনুল হক জাভেদ, মোঃ মতিউর রহমান আকরাম, মোঃ মিন্টু মিয়া, সজল বৈদ্য, মোঃ শওকত আলী খান, মোঃ সাইফুল ইসলাম লিটন, আলহাজ্ব মাহাবুবর রহমান, ওসমান গনি, মোঃ আজিজুল হক মঞ্জু, মোঃ হানিফ আলী, মোঃ জাহিদুর রহমান ও মোঃ শাহ আলম পাটওয়ারী।
মুদ্রণ শিল্পের বিকাশ ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সম্মিলিত পরিষদে প্রার্থী হয়েছেন খন্দকার মোঃ মহসিন, ফরিদ আহমেদ, নুরুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ ইউনুস আলী, শেখ তুমির উদ্দিন, ফেরদৌস খান দুলাল, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, জুলকর শাহীন, রায়হান খন্দকার, মোঃ আলাউদ্দিন গাজী, মোঃ আনোয়ার হোসেন মানিক, মোঃ আবু নাঈম সরকার, মোঃ রমজান আলী খান (বাবুল), মোঃ তাজুল ইসলাম, মাছুদার রহমান হেলাল, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ ওয়ালী উল্ল্যাহ রিপন (অলি), ডাঃ মোঃ দিদারুল আলম, রিয়াদ মাহমুদ (বাবু), প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, মমিনুর রহমান আইয়ুব, মোর্শেদ আজম, এম এ সাঈদ, মোঃ জাকির হোসেন, এ বি এম বেলাল হোসেন খান, মোঃ নেছার উদ্দিন হাওলাদার, মোঃ অহিদুল ইসলাম, মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ ওয়াহিদুর রহমান (টিপু), মোঃ শামসুল ইসলাম (বাহার), মোঃ আবু নাছের ও মাহাবুবুল আলম (গনি)।
নির্বাচন চলাকালীন সময়ে একাধিক প্রার্থী একুশে সংবাদকে বলেন, খুবই সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে সুষ্ঠ করতে সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেই জয়ী হবে তার সাথে এক হয়ে এই মুদ্রণ শিল্প সমিতির উন্নয়নে কাজ করব।
ভোটাররা বলেন, এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল প্রার্থী আমাদের খুব কাছের মানুষ। আজকে আমাদের মিলন মেলা। সবার সাথে দেখা হবে খুব ভালো লাগছে। নির্বাচনেতো সকলকে জয়ী করতে পারবোনা তবে যেই জয়ী হবে সে সকলকে নিয়ে এই বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির উন্নয়নে কাজ করবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। সমিতির সকল সদস্যের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই আমাদের কাম্য।
এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. ইবনে আজিজ মোঃ নুরুল হুদা বলেন, খুবই সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সকল ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা একে অপরের প্রতি আন্তরিক। নির্বাচনের সকল নিয়ম কানুন মেনে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছে। ভোটার বা প্রার্থীদের কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ নেই। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
নির্বাচনে ভোট কারচুপি হচ্ছে? একাধিক প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে, সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোন ধরনের ভোট কারচুপি বা জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। যারা ভোট দিতে আসছে, তাদের প্রত্যেকের আইডিকার্ড ও ছবি মিলিয়ে তারপর ভোট প্রদান করেন।
একুশে সংবাদ/রাফি/বাবু/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :