দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিগুণ আসন চাইছেন ১৪ দলীয় জোটের শরিকেরা। ১৪ দলের পাশাপাশি বিকল্পধারাকেও কয়েকটি আসনে ছাড় দিতে পারে আওয়ামী লীগ। অবশ্য আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু না হলেও নৌকার প্রার্থী চূড়ান্তের পর দর-কষাকষিতে বসতে পারে।
নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোট করার কথা জানিয়ে জানাচ্ছে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল ও গণতন্ত্রী পার্টি নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে। জোটগত নির্বাচনে কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগও। জাতীয় পার্টি থেকে রওশন এরশাদও চিঠি দিয়ে জোটে নির্বাচনের পথ খোলা রেখেছেন।
জোট নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরিকেরা এবার আওয়ামী লীগের কাছে ৩০টির বেশি আসন চাইবে।
জানতে চাইলে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আসন বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রস্তাব দেব। এই মুহূর্তে চারটি আসন আছে। চারটির জায়গায় আমরা ৮ থেকে ১০টি আসনের চেষ্টা করব।
১৪ দলের বাইরে বিকল্পধারাকে দুটি আসন ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতীয় পার্টিকে ২৫ থেকে ৩০টি আসনের মধ্যে রাখতে চাইবে ক্ষমতাসীন দল।
জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট হিসেবে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিল জাতীয় পার্টি (জাপা), বিকল্পধারা বাংলাদেশ। এবার জাপা তো ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। বিকল্পধারা এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে তাদের কথা। এরকম আরও দু-চারটি দল হয়তো নির্বাচনী জোটে আসতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, এবার আওয়ামী লীগ এককভাবে আড়াইশ আসনে নির্বাচন করবে। বাকি আসন শরিকদের মধ্যে বণ্টন হবে। পরিস্থিতি বুঝে ১৪ দলের জন্য সর্বাধিক ১৮টি আসন ছাড়া হতে পারে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আমাদের শরীক দলের যদি এরকম নেতা-কর্মী থাকেন যে তাদের এলাকায় একটা ভালো অবস্থা আছে, জনপ্রিয়তা আছে এবং যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অনৈতিকতার অভিযোগ নেই, তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বাড়তে পারে, কমতেও পারে।
সমঝোতার বাইরে কিছু আসন উন্মুক্ত থাকতে পারে। এ ছাড়াও বিএনপি ও সমমনা দলের যেসব নেতা ভোটে আসবেন তাদের জন্যও রাখা হতে পারে কয়েকটি আসন। সব দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৩টি আসনে ১৪ দলের শরিকদের ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :