আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, শরিকদের আপত্তি থাকলেও নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি অমূলক।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে স্বস্তি অস্বস্তির বিষয় নয়, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, স্বতন্ত্র থাকবে। তবে কাউকে সহিংসতা করতে দেয়া হবে না। সে যে দলের প্রার্থীই হোক। নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট। বল প্রয়োগ বা ফ্রি স্টাইলে যাওয়া যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন হলো কি না, এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, দেশের সার্বিক গণতন্ত্র যেখানে হুমকির মধ্যে সেখানে দেশের প্রয়োজনে দলীয় সভাপতি সিদ্ধান্ত দেবেন।
তিনি আরও বলেন, দেশ ও জাতির নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি বিএনপি। নির্বাচন বিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ড হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নিবাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই দেশের সার্বিক গণতন্ত্র সংকটের মুখে বলেও জানান তিনি।
সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়ন সমৃদ্ধির পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্জন আজকে আমাদের অহংকার। এই ঈর্ষণীয় অর্জন সারা দুনিয়ার প্রশংসিত করেছে। আমাদের দেশে কিছু লোক, কিছু দল আছে যারা দেশের অর্জন-উন্নয়ন প্রশংসা করে না। তারা দেশকে ছোট করার জন্য, খাটো করার জন্য বিদেশিদের কাছে দেশের বদনাম করে।
প্রার্থীদের সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রার্থীদের সম্পদ বৃদ্ধি অবৈধ হলে দুদক দেখবে।
জনপ্রিয়তার কারণে সবাই নৌকা চাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে এখনও আলাপ আলোচনা চলছে।
সহিংসতা, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র করে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
একুশে সংবাদ/ম.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :