মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালনের জন্য দেশবাসী ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।
আজ এক যৌথ বিবৃতিতে ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, মহান বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তি সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় এইদিন অর্জিত হয়েছিল। হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলার ভূখণ্ড হয়েছিল শত্রুমুক্ত। লাল সবুজের পতাকা উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে সেদিন স্বাধীনতার সূর্য আত্মপ্রকাশ করেছিল ।
নেতৃদ্বয় বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের শ্রমজীবী মানুষের অবদান অবিস্মরণীয়। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের জনপদে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা মুক্তিযুদ্ধ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ লড়াই করেছে। দেশের কুলি-মজুর, কৃষক-শ্রমিকদের অবদান কোনোভাবেই ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। তারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সূর্য ছিনিয়ে আনার জন্য দুঃশাসনের শৃঙ্খল ভেঙেছে। স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করার জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধের ময়দানে সম্মুখযুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সম্মুখযুদ্ধে অসংখ্য শ্রমিক জীবন দিয়ে বিজয়ের লাল সূর্য অঙ্কিত করেছে। আমরা তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
এই মহান দিনকে আমাদের যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করতে হবে। দেশবাসীকে সাথে নিয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রতিটি জেলা/মহানগরী ও বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন-ক্রাফট ফেডারেশনকে নিম্নোক্ত কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
কর্মসূচি
১. মহানগরী, জেলা, উপজেলা ও থানার উদ্যোগে র্যালি, আলোচনা সভা ও শ্রমিক সমাবেশ।
২. ট্রেড ইউনিয়নের উদ্যোগে র্যালি, আলোচনা সভা ও সামষ্টিক ভোজ।
৩. উপজেলা, থানা ও ট্রেড ইউনিয়নের উদ্যোগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
৪. অসহায় শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র, শাড়ী, লুঙ্গি ও খাদ্য বিতরণ।
৫. অস্বচ্ছল ও কর্ম-অক্ষম শ্রমিক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান।
৬. শ্রমিক পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।
৭. বেকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সহায়তা প্রদান।
৮. দরিদ্র কৃষকদের মাঝে সার ও বীজসহ কৃষি উপকরণ বিতরণ।
৯. সিএনজি-রিকশা গ্যারেজ এবং শ্রমিকদের মেসে পানির ফিল্টার ও মশারী বিতরণ।
১০. অনাথ ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ।
১১. ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি পালন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :