দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এগোচ্ছে ভিন্ন কৌশলে । ২৬৩ আসনে দলীয় নেতাদের মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু এর চেয়ে বেশি সংখ্যক আসনে দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
বলা হচ্ছে, শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে জড়াতে হতে পারে। তাই নৌকা প্রতীক পেয়েও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই স্বস্তিতে নেই। বিষয়টি তারা দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও ব্যক্ত করেছেন। তবে শেখ হাসিনা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন ভোট অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকবে।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের খবর অনুযায়ী, গত ১১ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রী `আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী` বিষয়ে শেখ হাসিনার অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। একজন মন্ত্রী তখন তাকে অনুরোধ করেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোস্টারে যেন তার ছবি ব্যবহার না করতে দিতে। তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা করার কোনো উপায় নেই। আমি কী করতে পারি?
স্বতন্ত্র প্রার্থী মানে কোনো দলের প্রার্থী নন। তাহলে কি স্বতন্ত্র প্রার্থী অন্য কোনো দলের প্রধানের ছবি ব্যানার বা পোস্টারে ব্যবহার করতে পারবেন? নির্বাচনী আচরণবিধিতে এ নিয়ে সুষ্পষ্ট কিছু বলা নেই। আচরণবিধিতে দলীয় প্রার্থী কী করতে পারবেন তা বলা আছে।
নির্বাচন কমিশনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এর আগে কমিশন এমন প্রশ্নের মুখে পড়েনি। তিনি জানান, সম্প্রতি কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারা কমিশনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আচরণবিধিতে এ নিয়ে কিছু লেখা না থাকলেও এর ব্যাখ্যা জটিল নয়। এজন্য দলীয় প্রার্থী কী করতে পারবেন সেটি দেখলেই সহজ হয়ে যায়।
আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনী প্রতীক ও দলীয় প্রধানের ছবি নিয়ে প্রার্থীর ছবি সংবলিত পোস্টার হবে সাদাকালো এবং নির্দিষ্ট মাপের। আর সেসব পোস্টার ঝুলবে কেবল দড়িতে।
অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থীর তো কোনো দল নেই। ফলে দলীয় প্রধানও নেই, এ কারণে পোস্টারে দলীয় প্রধানের ছবি থাকারও প্রশ্ন নেই।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, জোটের প্রার্থীরা জোট প্রধান অন্য দলের হলে তার ছবিও ব্যবহার করতে পারবেন না প্রার্থী।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :